বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন চিনি আমদানি ব্যয়ের তথ্য চেয়েছে। আমদানিকারকদের সাথে বৈঠকে এই তথ্য চাওয়া হয়েছে।
ট্যারিফ কমিশন সূত্রে জানা যায়, আমদানি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য যাচাই করা হবে। কস্টিং পর্যালোচনা করে দেখা হবে দামের ক্ষেত্রে কোন কারসাজি হয়েছে কী না তা। কারসাজি পাওয়া গেলেবিদ্যমান আইনে ব্যবস্থা নিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হবে ।
বুধবার ট্যারিফ কমিশনে চিনি আমদানিকারক পাঁচ প্রতিষ্ঠান আবদুল মোনেম, দেশ বন্ধু, এস আলম, মেঘনা, সিটি গ্রুপের সঙ্গে বৈঠকে বসে ট্যারিফ কমিশন। আকস্মিকভাবে চিনির দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাওয়া হয় তাদের কাছে। বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কস্টিং বেড়েছে বলে তাদের প্রতিনিধিরা জানান। এই পর্যায়ে পেশ করতে বলা হয়েছে কস্টিংয়ের বিস্তারিত তথ্য।
এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য (আইআইটি) অনু বিভাগের প্রধান ও অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, হঠাৎ দর বৃদ্ধির বিষয়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে। তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা হবে আদৌ তারা বেশি দামে চিনি আমদানি করেছিল কিনা। তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বিষয়ে ২০১১ সালে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল। নির্দেশনা অনুসারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতে হলে পূর্বে অনুমতির প্রয়োজন হয়। কিন্তু চিনির দর বৃদ্ধির ব্যাপারে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। এ বিষয়টিও তাদের অবগত করা হয়েছে।
আগস্টে দেশের বাজারে হঠাৎ করেই চিনির দাম বেড়ে যায়। দু-তিন দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি চিনির দাম বেড়েছে ১০ টাকা পর্যন্ত। এখনো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। কয়েকদিন আগেও ৭২ টাকা কেজিতে খোলা চিনি বিক্রি হলেও এখন খুচরা বাজারে ৭৮ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮২ টাকার মধ্যে।