বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
দিনাজপুর: ঘোড়াঘাট উপজেলার ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার দায় স্বীকার করেছেন তিনজন। চুরির উদ্দেশ্যে তারা ওই বাসায় ঢুকেছিলেন বলে র্যাব জানায়।
র্যাব-১৩ অধিনায়ক রেজা আহমেদ ফেরদৌস শুক্রবার সন্ধ্যায় রংপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়ে বলেন, ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ভাইয়ের দায়ের মামলায় দিনাজপুর থেকে আটকদের র্যাব-১৩ সদর দপ্তরে নিয়ে এসে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারা এ ঘটনায় নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানান, আসাদুলের ভাষ্য অনুযায়ী চুরির উদ্দেশ্যেই তারা ইউএনওর বাড়িতে প্রবেশ করেন এবং বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় হাতুড়ি দিয়ে পেটান। তবে আমরা আরও সময় নিয়ে গভীর তদন্ত করে এ ঘটনার মূল মোটিভ জানার চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, সন্দেহভাজনদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর সিসিটিভি ফুটেজে লাল গেঞ্জি পরিহিত ব্যক্তি তিনি নিজে বলে স্বীকার করেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী লাল গেঞ্জি উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে অপর দু.জন নবীরুল ও সান্টুকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাই। তারা ঘনঘন অবস্থান পরিবর্তন করলেও পরে তাদের গ্রেফতারে সক্ষম হই।
আসাদুলের বক্তব্য অনুযায়ী নবিরুল এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী।
শুক্রবার সকালে ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর হোসেনকেও এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক করার কথা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। তবে জিজ্ঞাসাবাদের পর ‘তার সম্পৃক্ততা’ না পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছে র্যাব।
এ ঘটনায় দায়ের মামলায় গ্রেপ্তার তিনজন হলেন ঘোড়াঘাট উপজেলার সাগরপুর এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে আসাদুল হক (৩৫) এবং চক বাবুনিয়া বিশ্বনাথপুরের মৃত ফরাজ উদ্দিনের ছেলে মো. নবীরুল ইসলাম (৩৫) এবং খোকা চন্দ্র কুমার বিশ্বাসের ছেলে সান্টু কুমার বিশ্বাস (২৮)।
ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনায় তার ভাই মামলা দায়ের করেন।
বুধবার রাত ৩টার দিকে উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে ইউএনওর বাসভবনের বাথরুমের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হামলা হয়।
আহত ওয়াহিদা খানমকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে তাকে এয়ার অ্যাস্বুলেন্সে ঢাকায় নেয়া হয়। ওয়াহিদার বাবাকে ঘোড়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ওয়াহিদার বাবা নওগাঁ থেকে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। তার স্বামী মেজবাহুল হোসেন রংপুরের পীরগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তাদের তিন বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে।