জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কতটুকু কাজ হয়েছে জনসাধারণকে জানান: মাহবুব
চট্টগ্রাম মহানগরে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)’র চেয়ারম্যান মোঃ জহিরুল আলম দোভাষ’র সভাপতিত্বে ০১ জুন দুপুরে সিডিএ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি মাহবুবুল আলম, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। সভায় স্থপতি আশিক ইমরান, সিডিএ ও সিটি কর্পোরেশন’র প্রকৌশল বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন। তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক লেঃ কর্ণেল শাহ আলী।
চসিক মেয়র মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন-কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা হারানো, অতীতের ন্যায় জলাধারের অভাব, খাল, নালা-নর্দমা ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ ও অবৈধ দখলের ফলে জলাবদ্ধতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আরএস খতিয়ান অনুযায়ী পুরানো খালগুলো উদ্ধার করতে হবে এবং অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে সেবা সংস্থাগুলোকে কঠোর হতে হবে। তিনি এক্ষেত্রে জনসচেতনতা সৃষ্টি, আইন প্রয়োগ এবং প্রয়োজনে দোষীদের জরিমানা করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন। একই সাথে উদ্ধারকৃত খালের রক্ষণাবেক্ষণ জরুরী উল্লেখ করে সিটি কর্পোরেশন ও সিডিএ’র প্রকৌশল বিভাগ এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দেন।
সিডিএ’র চেয়ারম্যান মোঃ জহিরুল আলম দোভাষ চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম’র অনুরোধে এ সভার আয়োজন করা হয়েছে উল্লেখ করে বলেন-চলমান প্রকল্পগুলো সম্পন্ন হলে তা সিটি কর্পোরেশনের নিকট হস্তান্তর করা হবে। এক্ষেত্রে কর্পোরেশনের পক্ষে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের অনুরোধ জানান। চাক্তাই, রাজাখালী, মহেশখাল ইত্যাদি খালে স্লুইস গেইট নির্মাণ সম্পন্ন হলে চট্টগ্রাম শহর জলাবদ্ধতা মুক্ত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
মতবিনিময়কালে চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন-কর্ণফুলী নদী বাঁচলে চট্টগ্রাম বন্দর বাঁচবে, চট্টগ্রাম বন্দর বাঁচলে দেশ বাঁচবে। প্রায় কয়েক মিটার গভীর পলিথিন স্তরের কারণে কর্ণফুলী নদীর ক্যাপিটাল ড্রেজিং বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে জলাবদ্ধতার কারণে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ-আছাদগঞ্জ-কোরবানীগঞ্জ পাইকারী বাজার এলাকায় শত শত কোটি টাকার মালামাল নষ্ট হচ্ছে। আসন্ন বর্ষা মৌসুমকে ঘিরে ব্যবসায়ীরা এবারও শংকিত। তিনি ব্যবসায়ীদেরকে এ ধরণের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান। প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ, নালা-নর্দমায় ময়লা আবর্জনা না ফেলতে জনগণকে সচেতন করা এবং সিডিএ, সিটি কর্পোরেশন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয় নিশ্চিত করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি গত দু’বছরে প্রকল্পের কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে এবং চলতি বছরে কতটুকু অগ্রসর হবে তা জনগণকে বিস্তারিত অবহিত করার জন্য প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম।
-সংবাদ বিজ্ঞপ্তি