- ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা জাগ্রত ব্যবসায়ী ও জনতার লক্ষ্য: শিহাব রিফাত আলম প্রেসিডেন্ট- জাগ্রত ব্যবসায়ী ও জনতা।
- সাক্ষাৎকার গ্রহণঃ মাসুদ লস্কর, হবিগঞ্জ
- জাগ্রত ব্যবসায়ী ও জনতার মানে কি??
- সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ করার সক্ষমতা ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দের সংগঠিত করার প্রয়াস মাত্র।
- আপনি কেন এ-ই সংগঠন করলেন?
- সাধারণ মানুষের ভালোবাসা। দেশব্যাপী আমাকে মানুষগুলো ভালোবাসে। আর সেই ভালোবাসার প্রতিদান আমার এই প্রতিবাদ।
- আপনাদের সংগঠন এর সদস্য কত? কমিটি কয়টি জেলায় আছে? এ-ই কমিটির কাজ কি??
- আমার সংগঠনের দেশব্যাপী বিস্তার।
- জেলা উপজেলা থানা কমিটির সংখ্যা ৪৪টি। প্রতিটি জেলায় কমিটির আওতাভুক্ত সদস্য সম্ভবত একশ। কমবেশি ও হতে পারে কোন কোন জায়গায়। কেন্দ্রীয় কমিটি সহ প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের সংগঠন এটি।
- ব্যবসায়ীদের জন্য আজ পর্যন্ত আপনারা কি সুযোগ করতে পারছেন? ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সমস্যা সমাধানে জাগ্রত’র ভুমিকা কি??
- ব্যবসায়ীদের জন্য করা সুযোগ প্রণোদনা প্যাকেজ। আমরা করোনা কালীন সময়ে এই বিষয়ে বিস্তারিত বলেছি এবং নিজেদের মধ্য নিজেরাই চালু করেছি। সমস্যা সমাধানে আমরা ইলেকট্রিক সেক্টরের অনেক বড় বড় কোম্পানির সাথেই প্রতিবাদ করে আলোচনার টেবিলে এনেছি। সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করেছি। অনেকাংশেই সফল আমাদের এই কার্যক্রম।
- আপনারা তো মুলত ইলেক্ট্রিক ব্যবসায়ী, কোম্পানি এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সমস্যা সমাধানে আপনারা কতটুকু সফল?
- অনেকটাই সফল এটা আমরা বলবো না। তবে আমাদের কথা ওদের এখন শুনলে ভাবতে হয়। আর কিছু সমাধান তো অবশ্যই যুগান্তকারী।
- শুনলাম আপনারা ব্লাড ব্যাংক করছেন, এ ব্যাংক কি শুধু ব্যবসায়ীদের জন্য নাকি সাধারণ জনগণকে সরাসরি সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা আছে?
- সারা বাংলাদেশ এই সেবার অন্তর্ভুক্ত। জাগ্রত ব্লাড ডোনার্স ক্লাব প্রতিদিন গড়ে পঞ্চাশ ব্যাগ রক্ত যোগান দেয় দেশব্যাপী। আমাদের লক্ষ্য এই সেবার সহজলভ্যতা। আমরাই একমাত্র সারা বাংলাদেশে বিনামূল্যে ব্লাড সংগ্রহ করছি।
- বি,ই,এ হসপিটাল সম্পর্কে কিছু বলুন। বি,ই,এ রেষ্টহাউজ কি এবং কেন? কারা এর সুবিধা ভুগি?
- বি ই এ হাসপাতাল এর অভাব এইবার করোনা কালীন সময়ে অনুভব হয়েছে সব চাইতে বেশী।
- এই হাসপাতালের সেবা ইলেকট্রিক ব্যবসায়ীদের প্রধাণ্য।
- রেস্ট হাউজ আসলে একটি নবাবপুর ব্যবসা বান্ধব পরিষেবা। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা নবাবপুর আসেন পণ্য ক্রয় করতে। শুধুমাত্র একটি নিশ্চিত থাকার জায়গা তাদের কেনাকাটা কে আরো সমৃদ্ধ করবে। এখানে কেউ দিনের পর দিন থাকবে না। এক বেলা, আধ বেলা সর্বোচ্চ এক রাত। কিন্তু লাভ নবাবপুরেরই।
- বাংলাদেশ সরকারের পক্ষথেকে আপনারা কেমন সারা পেলেন? আপনারা কি কোন রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করেন?
- সরকার আমাদের কোন প্রতিবন্ধকতা না। বরং সরকারের সাথে আমাদের ভুমিকা সহায়ক।
- জাগ্রত শুধু মাত্র ব্যবসায়ীদের পথ ও মতের প্রতিফলন করে তাই রাজনীতি করার অবকাশ এখানে নেই। সে অর্থে আমরা কোন রাজনৈতিক আদর্শের ছায়া নই।
- নো হেলমেট নো ওয়েল এর ব্যাপারে কিছু বলুন।
- এটি এদেশে একটা যুগান্তকারী পদক্ষেপ ছিলো। ধন্যবাদ গোয়ালন্দের পুলিশ সুপার মহোদয়কে। একাত্মতা প্রকাশ করে তিনি পুলিশকে এই কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত করেন। যার সফলতা দেশব্যাপী পরিলক্ষিত।
- আপনি প্রতিবছর বি,ই,এ, নির্বাচন করেন, কিন্তু এ বছর সরে দাড়ানোর কারন কি??
- আমি মনে করি বি ই এ নির্বাচনে নেতৃত্ব দেবার চাইতে জরুরি বি ই এ কে সুপারভিশন করা। এতে উপকৃত হবে ব্যবসায়ীরা। সেই জায়গা থেকে একজন পরিচালক হবার চাইতে সমালোচক হওয়া উত্তম।
- আপনি তো শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিক, তাই শিল্পপতিদের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন।
- এ দেশে শিল্পপতিদের সমস্যা একটাই, তারা শুধু নিজেদের উন্নতির কথা ভাবেন। অনুরোধ এই ভাবনাটি পরিবর্তন করুন।
- জাগ্রত ব্যবসায়ী ও জনতার আয়ের উৎস কি??
- সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত। সদস্যরাই চালায়।
- আপনারা কি প্রশাসনিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন? আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আপনাদের কি ভাবে গ্রহন করেছে। জনসাধারণ এর প্রতিক্রিয়া কি??
- আমরা যেহেতু সরকার বিরোধী কোন কর্মকান্ড পরিচালনা করি না, সেহেতু এই ধারাটি আমার জানা নেই।
- তবে জনগণের অকুণ্ঠ ভালোবাসা পাচ্ছি।
- সংক্ষেপে আপনার সংগঠন সম্পর্কে জানতে চাই।
- দেখুন মূলত আমরা জাগ্রত ব্যবসায়ী ও জনতা ব্যবসায়ীদের সংগঠন হলেও, আমরা জনসচেতনতামূলক কাজ যেমন – বৃক্ষ রোপণ, পথশিশুদের বিনামূল্যে খাবার বিতরন, নো হেলমেট নো ওয়েল কর্মসূচি , বিনামূল্যে রক্ত প্রদান, অতি দরিদ্রদের সহায়তা, সর্বোপরি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সহ অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী সংগঠন।
- বড় বড় শিল্পপতিদের সাথে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সমন্বয় সাধন করে দেশকে ও দেশের মানুষকে সহায়তার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।