শামসুল ইসলাম:
চট্টগ্রাম বন্দরের চিফ হাইড্রোগ্রাফার কমান্ডার এম. আরিফুর রহমান জানান, কর্ণফুলী হাইড্রোলিক অ্যান্ড হাইড্রোলজিক্যাল স্টাডির বিষয়ে এইচ আর ওয়ালিংফোর্ডের সঙ্গে বন্দর কর্তৃপক্ষের কিক-অফ মিটিং গত সোমবার হয়েছে। তারা কর্ণফুলী নিয়ে অতীতের বিভিন্ন সমীক্ষার তথ্য চেয়েছে। ৫ জানুয়ারির মধ্যে এসব তথ্য তাদের সরবরাহ করা হবে। এগুলো পর্যালোচনার পর ২৯ জানুয়ারি তাদের ব্যবহারিক জরিপ শুরু করার কথা রয়েছে। তবে তিনি বলেন, সবকিছু নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর। নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের কারণে বিভিন্ন দেশের মধ্যে উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্রিটেনের কভিড পরিস্থিতির ওপর সমীক্ষার কাজ শুরুর বিষয়টি অনেকাংশে নির্ভর করছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, সমীক্ষার মূল কাজ হবে চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেলের বিদ্যমান সুবিধা ও সীমাবদ্ধতা পর্যালোচনা, কর্ণফুলী নেভিগেশন চ্যানেলের ওপর জরিপ, বর্ষা মৌসুমে কর্ণফুলী নদীতে অবস্থানরত নৌযানগুলোর ওপর কাপ্তাই বাঁধ থেকে নিঃসরিত পানি প্রবাহ পরিস্থিতি, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বে-টার্মিনালের সঙ্গে কর্ণফুলী নদীর হাইড্রোলজিক্যাল ও হাইড্রোলিক সম্পর্ক নির্ণয়, কর্ণফুলী নদীর তলদেশের পলি, নদীর দুপাশের ভাঙন ও স্থাপনা, নদীর সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন খালের মুখে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, কর্ণফুলীর ড্রেজিং ইত্যাদির বাস্তবচিত্র তুলে আনা এবং এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ।
একই সঙ্গে নদী খননের মাধ্যমে নাব্য বৃদ্ধির মাধ্যমে আরও অধিক ড্রাফটের জাহাজ বন্দরে প্রবেশ করানো, নদীর প্রবেশ মুখে গুপ্তবাঁকের প্রতিবন্ধকতা দূর করা ইত্যাদি বিষয়েও প্রয়োজনীয় সুপারিশ থাকবে সমীক্ষা প্রতিবেদনে।
বন্দরের চিফ হাইড্রোগ্রাফার জানান, চট্টগ্রাম বন্দরকে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যের উপযোগী করতে তুলতেই এ সমীক্ষা। এতে ব্যয় হবে প্রায় ১৪ কোটি টাকা। কর্ণফুলী নদীর ওপর সর্বশেষ বড় ধরনের সমীক্ষা হয়েছিল ১৯৬১ সালে। এরপর বিভিন্ন ছোটখাটো জরিপকাজ চললেও ৬০ বছর পর আবারও বড় সমীক্ষা হতে যাচ্ছে।