Home First Lead জার্মানিতে কোনপক্ষই নিরংকুশ গরিষ্ঠতা পায়নি

জার্মানিতে কোনপক্ষই নিরংকুশ গরিষ্ঠতা পায়নি

ছবি সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

২০০৫ সালের পর প্রথমবারের মত ক্ষমতায় এল সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটরা। রবিবার অনুষ্ঠিত ভোটে অল্পের জন্য জয়ী হল সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটরা। কোন পক্ষই নিরংকুশ গরিষ্ঠতা পায় নি।

মধ্য-বামপন্থী সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটরা ভোট পেয়েছে ২৬ শতাংশ । অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের রক্ষণশীল ব্লক পেয়েছে ২৪.৫ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ কোনও পক্ষই নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পায়নি। এই পরিস্থিতিতে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট বা রক্ষণশীল জোট, যে কেউ সরকার গড়তে পারে। কিন্তু যেই সরকার গড়ুক, তাকে বাইরের কয়েকটি দলের সমর্থন নিতে হবে। নতুন জোট হতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। সম্ভবত বিভিন্ন গ্রিন পার্টি ও লিবারাল ফ্রি ডেমোক্র্যাট দলকে জোটে টানতে চাইবে দু’পক্ষই।

সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের তরফে যাঁকে পরবর্তী চ্যান্সেলর হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে, সেই ওলফ শুলজ বলেন, “প্রতিটি সমীক্ষাতেই আমাদের এগিয়ে রাখা হয়েছে।” এক ভাষণে তিনি বলেন, “আমরা জার্মানিতে এক বাস্তববাদী, ভাল সরকার পেতে চলেছি। ভোটাররা সেই লক্ষ্যেই রায় দিয়েছেন।”

২০১৭ সালের ভোটে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটরা পায় ২০.৫ শতাংশ ভোট। এবার তাদের দিকে বাড়তি প্রায় ছয় শতাংশ ভোট পড়েছে। ৬৩ বছর বয়সী শুলজ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে জার্মানিতে চতুর্থ সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট চ্যান্সেলর হতে পারেন। তাঁর বিপক্ষে রক্ষণশীল নেতা আরমিন লাসচেট বলেছেন, তাঁরা এখনও পরাজয় স্বীকার করতে রাজি নন। যদিও তাঁদের সমর্থন কমেছে বলে তিনি স্বীকার করেছেন।

লাসচেট বলেন, “আমি চাই জার্মানিতে এমন সরকার গঠিত হোক যেখানে শরিক সব দলই সমান গুরুত্ব পাবে। সবাই শুধুমাত্র চ্যান্সেলরের কথা শুনে চলবে না।”

শুলজ ও লাসচেট, উভয়েই বলেছেন, তাঁরা খ্রিস্টমাসের আগেই নতুন জোট গড়ে ফেলবেন। মার্কেল আগেই জানিয়েছিলেন, ভোটের পরে আর চ্যান্সেলর থাকবেন না। ২০০৫ সালে ক্ষমতায় আসার পরে সামগ্রিকভাবে ইউরোপের রাজনীতিকেই তিনি প্রভাবিত করেছেন। তিনি যখন প্রথমবার ক্ষমতায় আসেন, তখন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন জর্জ ডব্লু বুশ, ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন জাক শিরাক এবং ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন টনি ব্লেয়ার। তাঁরা বহুদিন রাজনীতি থেকে সরে গিয়েছেন।