বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: করোনা পরিস্থিতে জুলাই মাসেও রেমিট্যান্স এসেছে রেকর্ড পরিমান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে জানা যায়, জুলাই মাসের প্রথম ২৭ দিনে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ দশমিক ২৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। জুন মাসে তা ছিল ১ দশমিক ৮৩৩ বিলিয়ন ডলার৷ জুন মাসের মোট রেমিট্যান্সের চেয়ে ২২ শতাংশ বেশি এসেছে জুলাইর ২৭ দিনে। ২০১৯ সালের জুলাইয়ের তুলনায় বেশি ৩৯ শতাংশ।
জুলাই মাসে মোট রেমিট্যান্স ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে।
গত অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। আর তা ২০১৮-১৯ অর্থবছরের চেয়ে যা ১০ দশমিক ৮৫ ভাগ বেশি৷
২০১৮-১৯ অর্থবছরে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১৬ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার ।
অতীতে দেখা গেছে, সাধারণত বছরের দু’ঈদের আগে প্রচুর পরিমাণে রেমিট্যান্স আসে। তবে বেশি আসে কোরবানির ঈদের আগে। আর এবারে তা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও রেকর্ডভাঙা রেমিট্যান্সের কারণ হিসেবে অর্থনীতিবিদ এবং ব্যাংকিং বিশ্লেষকরা মনে করেন যে প্রবাসীরা এখন বেশ অনিশ্চয়তায় চাকরি নিয়ে। যে কোন সময় ফিরে আসতে হতে পারে। আর তখন কি পরিমাণে নদগ অর্থ নিয়ে আসতে পারবেন সেটাও অনিশ্চিত। এ কারণে প্রবাসে জমানো অর্থ তারা পাঠিয়ে দিচ্ছেন। তাছাড়া, ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠানো টাকার ওপর ২ শতাংশ হারে ইনসেন্টিভ সুবিধাও বিদ্যমান। প্রধানত এসব কারণে রেমিট্যান্স আসছে বেশি।
সিপিডির বিশেষ ফেলো অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ডয়চে ভেলেকে এ প্রসঙ্গে বলেছেন, কোরবানির ঈদের সময় অতীতেও বেশি রেমিট্যান্স এসেছে৷ কিন্তু এবার তা অতীতের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে৷ শুধু তাই নয়, গত কয়েক মাসেও রেমিটেন্স বেশি এসেছে৷ তার মতে,‘‘এটা মাসিক আয়ের রেমিট্যান্স নয়, ধারণা করছি প্রবাসীরা অনিশ্চয়তার কারণে তাদের যে জমানো টাকা বা পুঁজি আছে তা পাঠিয়ে দিচ্ছেন দেশে৷ কারণ তাদের চলে আসতে হলে ওই সময় নগদ টাকা কতটা নিয়ে আসতে পারবেন তার নিশ্চয়তা নেই৷”