বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে। এর জেরে দেশেও জ্বলানির দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যারেল প্রতি ৬০ ডলার দাম বেড়েছে অপরিশোধিত তেলের। তেল উৎপাদনকারী দেশসমূহ উৎপাদন কমাতেই এই অবস্থা। গত অক্টোবরের তুলনায় অপরিশোধিত তেলের মূল্য অন্তত ২০ শতাংশ বেড়েছে।
করোনার জেরে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। করোনা পরিস্থিতি আগের থেকে ভাল হলেও উৎপাদন এখনই বাড়াতে রাজি নয় তারা। যার জেরে দাম বাড়ছে। ফলে পেট্রল–ডিজেলের দাম আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। দফায় দফায় বেড়ে বিশ্ববাজারে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৮৩ ডলারে উঠেছে। এতে সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠে এসেছে তেলের দাম। সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে কন্টেইনারের ফ্রেইট।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দু দুটি ঝড়ের পর তেলের চাহিদা বাড়ছে। তবে সে তুলনায় সরবরাহ কম রয়েছে। ফলে পণ্যটির দাম বেড়েছে।
সৌদি আরব প্রতিদিন ১ মিলিয়ন ব্যারেল তেল কম উৎপাদন করছে। ফলে দাম বেড়েছে অপরিশোধিত তেলের। আর অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ার অর্থ বিপিসি’র আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়া।
আন্তর্জাতিক বাজার থেকে বাড়তি দামে অপরিশোধিত আমদানি করতে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)’র ব্যয় বেড়ে গেছে প্রচুর। কিন্তু সরকার নির্দিষ্ট দামে ডিজেল বিক্রিতে প্রতি লিটারে ১৩ থেকে ১৪ টাকা লোকসান দিতে হচ্ছে। এই লোকসানের হার কমাতে বিপিসি জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের কাছে ডিজেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে বলে জানা গেছে।
অপরদিকে, জ্বালানির দাম বাড়লে তাতে আমাদের অভ্যন্তরীণ ভোক্তা, অভ্যন্তরীণ উৎপাদন এবং রপ্তানিমুখী উৎপাদন- তিনটার ওপরই ঋণাত্মক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।