বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
‘দেখা এক খোয়াব তো ইয়ে সিলসিলে হুয়ে…’ এরপর কাউকে আর মনে করাতে হবে না কাশ্মীরের জগদ্বিখ্যাত টিউলিপ গার্ডেনের কথা। যাঁরা সচক্ষে দেখেছেন শ্রীনগরের টিউলিপ ফুলের বাগান, তাঁদের স্মৃতিতে এখনও স্পষ্ট ফুটে আছে রঙিন বাগিচার দৃশ্য। ভূস্বর্গে শীতের শেষ ও বসন্তের আগমনের বার্তা বয়ে আনে টিউলিপ। ভোটের উত্তেজনার মাঝেও হিমালয়ের কোল থেকে প্রাণের আরাম, আত্মার শান্তি নিয়ে ফের ফুটে উঠেছে ১৫ লক্ষ টিউলিপ। যা এশিয়ার বৃহত্তম বাগিচা। আর আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হতে চলেছে বিশ্বখ্যাত কাশ্মীর টিউলিপ ফেস্টিভ্যাল ২০২৪।
এ বছর টিউলিপ উৎসব শুরু হচ্ছে ১৯ মার্চ থেকে। ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল টিউলিপ গার্ডেনে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। এখানেই অসংখ্য ছবির শ্যুটিং হয়েছে। এশিয়ার মধ্যে বৃহত্তম এই টিউলিপ বাগিচা। ডাল লেকের ধারে শ্রীনগরের অতি পরিচিত এলাকা এটি। টিউলিপ ফোটার সময় এই বাগানে গালিচার মতো নানান রঙের টিউলিপ ফুটে থাকে। লাল, গোলাপি, হলুদ, সাদা ছাড়াও অবর্ণনীয় রঙের ফুলের মেলা বসে এই বাগানে।
এ বছর কাশ্মীর টিউলিপ উৎসব হবে ১৯ মার্চ থেকে, চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। সকাল ১০টা থেকে খুলবে। প্রবেশ মূল্য ভারতীয়দের জন্য ৯৯ টাকা। ১২ বছরের নীচে বাচ্চাদের জন্য ৩০ টাকা। কত ধরনের টিউলিপের দেখা মেলে এখানে। স্ট্যান্ডার্ড, ডাবল ব্লুম, প্যারট, ফ্রিন্জ, বাই কালার স্ট্যান্ডার্ড, লিলি জাতীয়, ট্রায়াম্ফ ও আরও অনেক ধরনের।
টিউলিপ উৎসব দেখার অছিলায় কাশ্মীর ভ্রমণটাও সেরে ফেলতে পারেন অনায়াসে। যেমন, চশমে শাহি উদ্যান, পরিমহল, শঙ্করাচার্য মন্দির, ডাল লেক, নিশাত গার্ডেন্স, মুঘল গার্ডেন্স, শালিমার বাগ, নাগিন লেক, হজরতবাল, স্থানীয় বাজারে সেরে ফেলতে পারেন শাল, আলোয়ান ও কাশ্মীরি হাতের কাজের নানান সম্ভার কেনাকাটা। লালচকের কাছে রাস্তার ধারেও বিক্রি হয় এইসব সামগ্রী। চেখে দেখতে পারেন অসম্ভব স্বাদের কাশ্মীরি পদ।