চট্টগ্রাম-জেদ্দা, চট্টগ্রাম-মদিনা বিশেষ ফ্লাইট চালু করতে হবে নতুবা বলাকা ভবনের সামনে অনশন ধর্মঘট: সুজন
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: ওমরাহ যাত্রীদের সুবিধার্থে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম-জেদ্দা, চট্টগ্রাম-মদিনা বিশেষ ফ্লাইট চালুর দাবী জানিয়েছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

আজ সোমবার (২৭ ডিসেম্বর ২০২১ইং) এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবী জানান। এতে তিনি বলেন শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট জেদ্দার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে ঢাকার ট্রাভেল এজেন্সীগুলো বিমানের সব টিকিট বুকিং করে ফেলে। এতে চট্টগ্রামের যাত্রীরা পরিবার পরিজন নিয়ে ওমরাহ আদায়ের প্রস্তুতি নিলেও শুধুমাত্র টিকেটের কারণে ওমরাহ আদায় করতে যেতে পারছে না। বছরের শেষ দিনগুলোতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ থাকার ফলে প্রতি বছর এ সময় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ধর্মপ্রাণ মুসলমান ওমরাহ আদায় করতে সৌদিআরব গমন করে থাকে।
বর্তমানে তাদের সৌদিআরব গমন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে শুধুমাত্র এক শ্রেণীর ট্রাভেল এজেন্সীর টিকিট সিন্ডিকেটের কারণে। এছাড়া শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে মদিনাগামী সরাসরি কোন ফ্লাইট নেই। অথচ ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মদিনাগামী সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে। যা যাত্রী সাধারণসহ পুরো চট্টগ্রামবাসীর প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ বলে আমরা মনে করি।
তিনি অবিলম্বে শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম-জেদ্দা, চট্টগ্রাম-মদিনা বিশেষ ফ্লাইট চালুর সবিনয় অনুরোধ জানান। এছাড়া শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে জেদ্দা ও মদিনাগামী ফ্লাইটের শতকরা ৭০% সিট চট্টগ্রামের ট্রাভেল এজেন্সীগুলোর জন্য বরাদ্দ রাখার দাবী জানান।
তিনি আরো বলেন বিগত দুই বছর ধরে করোনা মহামারীর কারণে ট্রাভেল এজেন্সীগুলোর ব্যবসা বন্ধ ছিল। অনেক এজেন্সী লোকসানের ধকল সইতে না পেরে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় সৌদিআরব তাদের দেশে শর্ত সাপেক্ষে ওমরাহ করার অনুমতি প্রদান করেছে। এ সময় যদি চট্টগ্রামের ট্রাভেল এজেন্সীগুলো তাদের কাংখিত ব্যবসা করতে না পারে তাহলে এ খাতে ধস নেমে আসবে।
তিনি আরো বলেন সিন্ডিকেট সিস্টেমের মাধ্যমে বিমানসহ দেশি বিদেশি এয়ারলাইন্সের টিকিটকে কুক্ষিগত করে রাখা হয়েছে। তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করার যেনো কেউ নেই। এসব টিকিট সিন্ডিকেট প্রথা ভেঙ্গে বাংলাদেশ বিমানসহ দেশি বিদেশি এয়ারলাইন্সের টিকিট সকল এজেন্সীর জন্য উন্মুক্ত করা আজ সময়ের দাবী। এছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সাথে সমন্বয় করে টিকিটির মূল্য নির্ধারণ করার জন্যও তিনি বিমান মন্ত্রীর নিকট সবিনয় অনুরোধ জানান।
তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব জটিলতা অপসারণের অনুরোধ জানান। টিকিটির দাম যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসা এবং চট্টগ্রাম-জেদ্দা, চট্টগ্রাম-মদিনা বিশেষ ফ্লাইট চালু করা না হলে ঢাকায় গিয়ে বলাকা ভবনের সামনে অনশন ধর্মঘটসহ বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করার হুশিয়ারি উচ্চারন করেন খোরশেদ আলম সুজন।