Home আন্তর্জাতিক ধর্ষণের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে

ধর্ষণের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফের ধর্ষণের অভিযোগ মামলা রুজু করতে চলেছেন এক লেখিকা। গত অগাস্টে এই নিয়ে ফেডারেল আদালতের বিচারকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। গত মঙ্গলবার সেই চিঠির বিষয় প্রকাশ্যে আসায় ফের সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে চলে এসেছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অভিযোগকারী বছর ৭৮-র ই জেন ক্যারোল এই ইস্যুতে ২০১৯-ও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ এনেছিলেন। ওই বছরই ক্যারোলের একটি বই প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানেও তিনি গোটা বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন। যা পত্রপাট খারিজ করে দেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
অভিযোগকারিনী ক্যারলের দাবি, ১৯৯৫ বা ৯৬ সালে ঘটনাটি ঘটেছিল। নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের ‘বার্গডর্ফ গুডম্যান’ ডিপার্টমেন্টাল স্টোর থেকে সে দিন সন্ধেবেলা বেরোনোর পথে হঠাৎই দেখা হয়েছিল ট্রাম্পের সঙ্গে। সে সময় একটি টেলিভিশন শোয়ের পরিচালিকা তিনি, আর ট্রাম্প রিয়েল-এস্টেট ডেভলপার। স্বল্প আলাপ-পরিচয়ের পর ট্রাম্প অনুরোধ জানান, ক্যারল যদি তাঁকে এক জনের জন্য উপহার খোঁজার ব্যাপারে সাহায্য করেন।

এর পরেই ট্রাম্প মহিলাদের একটি অন্তর্বাস পছন্দ করেন এবং ক্যারলকে অনুরোধ সেটা পরে দেখানোর জন্য। ক্যারলের পাল্টা অনুরোধ আসে, ট্রাম্প যেন নিজেই সেটা পরে দেখেন। দু’জন ড্রেসিং রুমে পৌঁছলে হঠাৎই ট্রাম্প উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। ক্যারল লিখেছেন, “দেওয়ালে ঠেসে ধরে আমার দু’হাত চেপে ধরেছিলেন উনি। আমার কোট ড্রেসের ভিতর হাত ঢুকিয়ে আমার অন্তর্বাস খুলে ফেলেছিলেন। আর তার পরই আমাকে ধর্ষণ করেন। আমি কোনও মতে ছুটে পালাই।”

কিন্তু এত দিন চুপ ছিলেন কেন তিনি? ক্যারলের কথায়, ‘আমি ভিতু ছিলাম। কিন্তু মনে হল এ কথা বললে বহু মহিলা মনে জোর পাবেন, নিজের কথা বলবেন।” সেই অভিজ্ঞতা তখনই দুই বন্ধুকে জানিয়েছিলেন বলেও দাবি করেছিলেন ক্যারল। তাঁরা তাঁকে পুলিশের কাছে যেতে বলেন। কিন্তু কোনও প্রমাণ না থাকায় যেতে পারেননি ক্যারল। এখনও অবশ্য তাঁর কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে বলে দাবি করেছেন অভিযোগকারিণী।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা বা ধর্ষণের অভিযোগ নতুন নয়। ক্যারলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ট্রাম্প বলেছেন, “ওই মহিলার সঙ্গে আমার কখনও আলাপ হয়নি।’” তাঁর আরও যুক্তি, “স্রেফ নিজের বইয়ের কাটতি বাড়ানোর জন্য এ সব বলছেন উনি।” গত অগাস্টে ট্রাম্পের ফ্লোরিডার বাড়িতে হানা দিয়েছিল এফবিআই। সেই ঘটনার পর ফের যৌন কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াল প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের।