Home First Lead খোলাবাজারে মার্কিন ডলার ১০২ টাকা

খোলাবাজারে মার্কিন ডলার ১০২ টাকা

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: খোলাবাজারে টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের দাম আরও বেড়েছে। মঙ্গলবার বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জে বিক্রি হয়েছে ১০১ থেকে ১০২ টাকা দরে। সোমবার বিক্রি হয়েছিল প্রতি ডলার ৯৮ টাকা। সেই হিসেবে একদিনের ব্যবধানে বেড়ে গেছে ৪ টাকা।

চাহিদা বৃদ্ধি ও সংকটের কারণে এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাংলাদেশ ব্যাংক সোমবার মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমায়। প্রতি মার্কিন ডলারের বিনিময়মূল্য ৮০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।

জানুয়ারির  শুরুতে ডলারের বিনিময়মূল্য ২০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর ২৩ মার্চ তা আবার ২০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা ২০ পয়সা করা হয়েছিল। গত ২৭ এপ্রিল বাড়ানো হয় ২৫ পয়সা। তাতে ১ ডলারের বিনিময়মূল্য দাঁড়ায় ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সায়। গত ৯ মে ডলারের বিনিময়মূল্য ২৫ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বশেষ সোমবার ডলারের দর বেঁধে দিয়েছে ৮৭ টাকা ৫০, কিন্তু তাদের বেঁধে দেওয়া এ রেট বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো মানছে না। এখন ব্যাংকে এলসি করতে গেলে ডলারের বিপরীতে নেওয়া হচ্ছে ৯২ থেকে ৯৩ টাকা। আবার কোনো কোনো ব্যাংক ৯৫/৯৬ টাকাও নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু এরপর থেকে বড় ধরনের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করতে গিয়ে ডলার সংকট শুরু হয়। যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত আছে।

রাজধানীর বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জে প্রতি ডলার ১০১ থেকে ১০২ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সোমবার প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য ছিল ৯৮ টাকা।

 চিকিৎসা, পড়াশুনাসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে যারা বিদেশ যেতে যান তাদেরকে ডলার কিনতে হয়। ব্যাংকিং খাতের বাইরে খোলা বাজারে (কার্ব মার্কেট) থেকে অনেকে ডলার কিনে থাকেন। খোলা বাজারে চাহিদা অনুযায়ী দাম ওঠানামা করে। সম্প্রতি ডলারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও বেশ বাড়ছে। এতদিন এক ডলার কিনতে ১০০ টাকার নিচে ব্যয় হতো। গতকাল তা ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এক ডলার কিনতে ১০২ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে হয়েছে কাউকে কাউকে।

খোলা বাজারে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ৩১ মে থেকে হজ ফ্লাইট শুরু। হজকে কেন্দ্র করে বেড়ে গেছে। চাহিদার তুলনায় বাজারে এই মুদ্রার জোগান কম। দাম বাড়ার জন্য এটা একটা বড় কারণ।