বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: বিদেশে পড়াশোনা, চিকিৎসা এবং ভ্রমণের জন্য প্রয়োজন হয় নগদ ডলারের। যু্ক্তরাষ্ট্রের এই মুদ্রাটি খোলাবাজারে বিক্রি হচ্ছে ১১৭ টাকা দরে। সপ্তাহ খানেক আগে বিক্রি হয়েছে ১১২ টাকা থেকে ১১৪ টাকা দরে।
করোনা মহামারির পর দেশে ডলারের চাহিদা বেড়ে যায়। এ অবস্থার মধ্যে গত বছরের শুরুর দিকে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। বিশ্বজুড়ে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। ফলে আমদানি ব্যয়ও বৃদ্ধি পায়। এই প্রেক্ষাপটে অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে ডলারের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়। ফলে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। তখন বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম বেঁধে দেয় । তাতে সংকট কমেনি, বেড়েছে আরও। পরে ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) ওপর দায়িত্ব ছেড়ে দেয় তারা।
এখন এই দুই সংগঠন মিলে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স এবং আমদানি দায় পরিশোধের ডলারের মূল্য নির্ধারণ করছে। রপ্তানিকারকদের জন্য প্রতি ডলারের দাম ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা, রেমিট্যান্সে ১০৯ টাকা এবং আমদানিতে সর্বোচ্চ ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা ঠিক করে দিয়েছে তারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ সত্ত্বেও দাম নিয়ন্ত্রণে আসছে না। নির্ধারিত দামের চেয়ে ৫ থেকে ৬ টাকা বেশিতে বিক্রি করছে ব্যাংকগুলো। একইসঙ্গে খোলা বাজারে খুচরা ডলারের দামও বেড়েছে।
বাজারে ডলার সংকট কাটাতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ থেকে ধারাবাহিক ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ১৩ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছিল। আর আগের অর্থবছরে ( ২০২১-২২) বিক্রি করেছিল ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার। এভাবে ধারাবাহিক ডলার বিক্রির ফলে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি সঞ্চয় করা রিজার্ভ এখন ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে।