বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে ইতিহাস গড়লেন। তিনিই একমাত্র ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী যিনি তাঁর নিজের পদে থাকাকালীন নিজের সঙ্গিনীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করলেন।
সদ্য করোনা যুদ্ধ থেকে ফিরে এসেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। যদিও বরিসের দেহে কোভিড–১৯ এর সংক্রমণের ফলে চিকিৎসকেরা আশঙ্কিত হয়ে পড়ে। তবে সেইসব কিছুকে তুড়ি মেরে করোনা যুদ্ধ থেকে সুস্থ হয়ে ফিরলেন বরিস।
ভারতীয় বংশদ্ভূত স্ত্রী মারিনা উইলারের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের আইনিভাবে সিলমোহর পড়ল। আর তার ফলে ইতিহাস গড়ে ২৫০ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন এই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৭৬৯ সালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী অগাস্টাস নিজের পদে থাকাকালীন স্ত্রী এর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করেন। ১৯৯৩ সালে প্রথম পক্ষের স্ত্রী অ্যালেগ্রা ওয়েনের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে বরিস জনসনের। তার মাত্র ১২ দিন পরেই তিনি ভারতীয় বংশদ্ভূত মারিনা উইলারের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দ্বিতীয় পক্ষের বরিস ও মারিনা উইলারের সন্তান রয়েছে, দুই কন্যা ও দুই পুত্র। সদ্য বিবাহবিচ্ছেদ ঘটা দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী মারিনার পিতা ব্রিটিশ হলেও তাঁর মা ছিলেন ভারতীয়।
প্রায় দুই বছর পরে আইনি ভাবে বিবাহবিচ্ছেদ হল মারিনা ও বরিসের। এবার নতুন বান্ধবী ক্যারি সাইমন্ডসকে বিয়ের পিড়িতে বসানোতে আর কোনো বাঁধা রইল না। ক্যারি ২৯ এপ্রিল একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন।
১৯৯৩ সালে প্রথম স্ত্রী অ্যালেগ্রা মোস্টাইন আওয়েনের সাথে বিবাহবিচ্ছেদের মাত্র ১২ দিনের মধ্যে ম্যারিনা উইলারকে বিয়ে করেন বরিস। ম্যারিনার বাবা একজন সাংবাদিক এবং তার মা ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ইউরোপীয় এক স্কুলে একসঙ্গে পড়াশোনাও করেছিলেন জনসন ও উইলার। জনসন ও উইলারের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। ২০১৮ থেকে তাদের বিবাহবিচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। ২ বছর পর তা শেষ হল।