Home আন্তর্জাতিক ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভেটো কংগ্রেসে নাকচ

ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভেটো কংগ্রেসে নাকচ

বার্ষিক ৭৪ হাজার কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা বিল ভেটো দিয়ে নাকচ করেছিলেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান সদস্যরা বিপুল ভোটে নাকচ করে দিলেন প্রেসিডেন্টের ভেটোকেই। প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্পের মেয়াদ শেষ হতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। তার আগে বড় ধাক্কার মুখে পড়লেন তিনি।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস ৩২২-৮৭ ভোটে ট্রাম্পের ভেটো নাকচ করে দেয়। যে বিলটিতে ট্রাম্প ভেটো প্রয়োগ করেছিলেন, তার নাম এনডিএএ ২০২১। মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্য ছিল, বিলে এমন কয়েকটি ধারা আছে, যা কার্যকরী হলে জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষতি হবে। কয়েকটি সেনা ঘাঁটির নাম পরিবর্তনেরও বিরোধিতা করেছিলেন ট্রাম্প।

আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জো বাইডেন। তার আগে কংগ্রেসে পাস হওয়া প্রতিরক্ষা বিল নাকচ করে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। খুব কম ক্ষেত্রেই প্রেসিডেন্ট কংগ্রেসে পাস হওয়া বিলের ওপরে ভেটো প্রয়োগ করেন। কিন্তু কংগ্রেসের দুই কক্ষের দুই তৃতীয়াংশ সদস্য যদি কোনও বিলের পক্ষে থাকেন, তাহলে প্রেসিডেন্ট ভেটো দেওয়া সত্ত্বেও তা আইনে পরিণত হতে পারে।

সেনেটের আর্মড সার্ভিসেস কমিটির চেয়ারম্যান জিম ইনহোফ বলেন, প্রস্তাবিত বিলটির পক্ষে সায় দিয়ে আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি যে, মার্কিন কংগ্রেস সেনাবাহিনীকে সাহায্য করতে প্রস্তুত। ইনহোফের মতে, এই বিল আইনে পরিণত হলে সেনাকর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা উপকৃত হবেন। রাশিয়া ও চিনের বিরুদ্ধে আমেরিকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার হবে। সাইবার প্রতিরক্ষাও হবে আরও শক্তিশালী। সেনাবাহিনী নানা নতুন প্রযুক্তির সাহায্য পাবে। তাতে সুরক্ষিত থাকবে আমেরিকার আগামী প্রজন্ম।

কংগ্রেসম্যান অ্যাডাম স্মিথ বলেন, প্রেসিডেন্ট অযৌক্তিকভাবে ওই বিলে বাধা দিয়েছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস তাঁর ভেটো নাকচ করে দিয়েছে। সেনেটের সিলেক্ট কমিটি অন ইনটেলিজেন্সের ভাইস চেয়ারম্যান মার্ক ওয়ার্নার বলেন, আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ওই বিল আইনে পরিণত হওয়া জরুরি। নাহলে সামরিক বাহিনীর ক্ষতি হবে। তারা শত্রুর বিরুদ্ধে সবসময় প্রস্তুত থাকতে পারবে না।

ট্রাম্পের ভেটোর পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন সেনেটর টেড ক্রুজ। তিনি বলেন, ওই বিল নিয়ে উদ্বেগের একাধিক কারণ আছে। ওই বিলে ডেমোক্র্যাটরা নিজেদের পছন্দমতো কয়েকটি ধারা ঢুকিয়ে দিয়েছে। তার সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তার কোনও সম্পর্ক নেই। ওই ধারাগুলি সংবিধানবিরোধী। তাতে দেশের ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে।

-বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক