করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শহরের তরুণ জনগোষ্ঠী এবং বিদেশ ফেরত বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানে ২০ কোটি ডলার অর্থসহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। বর্তমান বাজার দরে যার পরিমাণ ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
বুধবার (১৭ মার্চ) বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় এই ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অনানুষ্ঠানিক খাতের কর্মসংস্থান পুনরুদ্ধার’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে ১ লাখ ৭৫ হাজার নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। তাঁদের বেশির ভাগই শহুরে তরুণ এবং ছোট উদ্যোক্তা। ছোট উদ্যোক্তারা যাতে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারে, সেই সহায়তাও দেওয়া হবে প্রকল্পটি থেকে।
এতে বলা হয়, এই প্রকল্পের আওতায় দেশে ফিরে আসা ২ লাখ প্রবাসী শ্রমিককে সহায়তা দেওয়া হবে। তাঁরা যাতে পুনরায় বিদেশে ফিরে যেতে পারেন কিংবা স্থানীয় শ্রমবাজারে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন, তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ প্রকল্প থেকে প্রবাসীদের নগদ অর্থ দেওয়া হবে, পাশাপাশি দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ ও কাউন্সেলিং।
এতে আরও বলা হয়, দেশে ফেরত আসা প্রবাসী শ্রমিকদের অনেকে বিশাল ঋণের বোঝা নিয়ে ফিরেছেন। তাঁদের মানসিক শক্তি জোগাতে নানা ধরনের কাউন্সেলিং সেবা দরকার। এ ছাড়া তাঁদের কারিগরি, ভকেশনাল, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। সারা দেশের ৩২ জেলার কল্যাণ কেন্দ্র থেকে দেওয়া হবে এ সেবা। প্রকল্পটি মূলত ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর সামাজিক নিরাপত্তার জন্য নেওয়া হয়েছে।
এটি সহজ শর্তের ঋণ। এই ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ৩০ বছর। বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে সহজ শর্তের পাশাপাশি কঠিন শর্তের কিছু ঋণ নিচ্ছে। এই ঋণ বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) থেকে পাচ্ছে বাংলাদেশ।