Home স্বাস্থ্য দাঁত ফিলিং করানোর আগে যা জানা প্রয়োজন .

দাঁত ফিলিং করানোর আগে যা জানা প্রয়োজন .

 

আমাদের শরীরের চমৎকার একটি ক্ষমতা আছে আর তা হল আঘাত প্রাপ্ত স্থানের মেরামত করতে পারে সে নিজেই। যেমন – শরীরের কোন হাড় ভেঙ্গে গেলে শরীর নতুন কোষ উৎপন্ন করে ভেঙ্গে যাওয়া হাড়কে আঠার মত জোড়া লাগাতে পারে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত দাঁতের ক্ষেত্রে এমনটা হয়না। শত শত বছর পূর্বে দাঁতের এই ক্ষয়ের যন্ত্রণা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য দাঁত ফেলে দিতে হত।
বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে ক্ষয় হাওয়া দাঁতকে ফেলে দিতে হয় না। ক্ষয়ে যাওয়া দাঁতের ছিদ্রকে বন্ধ করার পদ্ধতিটিকেই ডেন্টাল ফিলিং বলে। দাঁতের ফিলিং করানোর পূর্বে আপনার যা জানা প্রয়োজন তা নিয়েই আজকের এই ফিচার।

কেন ফিলিং করানো প্রয়োজন: যদি খাওয়ার পড়ে ফ্লস ব্যবহার করা ও ব্রাশ করার মাধ্যমে সঠিক ভাবে দাঁত পরিষ্কার করা না হয় তাহলে দাঁতে খাদ্য কণা জমে ব্যাকটেরিয়ার বংশ বৃদ্ধি ঘটে এবং বিষাক্ত পদার্থ উৎপন্ন হয়। এই বিষাক্ত পদার্থ দাঁতের সবচেয়ে বাহিরের স্তর এনামেলের রঙ নষ্ট করা শুরু করে। প্রথমে দাঁতে হালকা হলুদ দাগ দেখা যায় – তারপর গাঁড় হলুদ – তারপর হালকা বাদামী – তারপর গাঁড় বাদামি-ধুসর এবং সবশেষে গাঁড় কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করে। এই পর্যায়ে যদি ঠিকমত চিকিৎসা করা না হয় তাহলে দাঁতের ঐ অংশে ছিদ্র হওয়া শুরু করে যাকে ক্যাভিটি বলে।

রাতে দাঁত ব্রাশ না করলে এই সর্বনাশ হতে পারে

আমরা তো প্রতিনিয়ত দাঁত ব্রাশ করি তবে সেটা সকালে।সকালের সাথে সাথে রাতেও যে ব্রাশ করা কতটা জরুরি তা অনেকে জেনেও করে না।তাই রাতে আপনাকে মনে করে হলেও দাঁত মাজতে হবে।আর না মাজলে এই সমস্যাগুলির সম্মুখীন হতে হবে-
১.দাঁত হলুদ হয়ে যায়: শুধু তাই নয়, এই অ্যাসিড দাঁতের ওপর একটা স্তর ফেলে দেয়। যে স্তর দিনের পর দিন পরতে থাকলে হলুদ রঙ হয়ে যায় যে রঙ কোনোভাবেই আর ব্রাশ করে তোলা যায় না। আমাদের তখন কোন ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরিষ্কার করাতে হয় অনেক টাকা দিয়ে।

২. দাঁত থেকে অন্যান্য রোগ হতে পারে: কিন্তু, শুধু দাঁতের সমস্যাতেই বিষয়টা আটকে থাকবে না। আপনার হতে পারে হার্টের রোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা, ফুসফুসের রোগ, কিডনির সমস্যা হতে পারে। এমনকি ক্যানসার হতে পারে। রাতে খাবারের পর জমে যাওয়া খাবারে যে ব্যাকটেরিয়া হয় তা রক্ত প্রবাহের সঙ্গে জীবাণুর সংক্রমণ ঘটিয়ে হার্টের সমস্যা আনতে পারে। যে অ্যাসিড তৈরি হয় সেই অ্যাসিড রক্তে গ্লুকোজের মাত্রার তারতম্য ঘটায়।

৩.দাঁতে ব্যাকটেরিয়া জমা হতে থাকে: আমরা যখন রাতে খাই তারপর আমাদের দাঁতের ফাঁকে খাবারের কণা জমে যায়। আমাদের উচিৎ সেই খাবারের কণাগুলো দাঁত থেকে সরিয়ে দেওয়া। নইলে সেই জমা খাবারে ব্যাকটেরিয়া জমা হতে থাকে।
৪. মাড়ি সরে আসে ও দাঁত আলগা হয়ে যায়: আবার এই দাঁতের অ্যাসিডিক হয়ে যাওয়ার জন্য নানারকম ইনফেকশন হতে পারে। দাঁতের স্বাস্থ্যকর যে টিস্যু থাকে তা নষ্ট হয়। মাড়ি সরে আসে ও দাঁত আলগা হয়ে যায়। দাঁত থেকে পড়ে রক্ত। মাড়ি ফুলে গেলে আপনাকে দেখতেও তো ভালো লাগবে না।