দিল্লি: জাফরাবাদ-মৌজপুরের রাস্তায় যেন শ্মশানের স্তব্ধতা। গোকুলপুরীতে এখনও চলছে এলোপাথাড়ি গুলি। রাস্তাঘাটে পড়ে ভাঙা কাঁচের টুকরো, পাথর, লোহার রড, ছেঁড়া রক্তমাথা কাপড়ের টুকরো। গতকালের রাতের পর থেকে ফের তেতে উঠেছে জোহরাপুরী-ভজনপুরা। উত্তরপ্রদেশ লাগোয়া জোহরাপুরীতে পুলিশের সঙ্গেও দুষ্কৃতীদের সংঘর্ষ হয়েছে। রাস্তাঘাটে কুপিয়ে, গুলি করে খুন করা হচ্ছে নিরীহ মানুষকে। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩০। আহতদের সংখ্যা ২০০ জনেরও বেশি।
গত তিনদিন ধরে পেট্রল-বোমা ছুঁড়ে, গাড়ি জ্বালিয়ে তাণ্ডব চলছিল রাজধানীর রাস্তায়। এবার অ্যাসিড নিয়েও পথে নেমেছে বিক্ষোভকারীরা। মুস্তাফাবাদের অনেক জায়গায় অ্যাসিড হামলার খবর মিলেছে। অনেকের চোখ-মুখ, গোটা শরীর ঝলসে দেওয়া হয়েছে অ্যাসিডে। দিল্লির তেগ বাহাদুর হাসপাতালে অ্যাসিড ক্ষত নিয়ে ভর্তি অনেকে। অ্যাসিড হামলায় চারজন হারিয়েছেন দৃষ্টিশক্তি। জ্বালাপোড়া ক্ষত নিয়ে রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে।
মৌজপুর এবং ব্রহ্মপুরীর মতো একই পরিস্থিতি কারওয়াল নগরে। সেখানে একটি টায়ার কারখানায় বিক্ষোভকারীরা আগুন ধরিয়ে দেয় বলে জানা গেছে। আগুন ধরানো হয় বেশ কিছু গাড়িতেও। এ দিনও জাফরাবাদ, মৌজপুর-বাবরপুর, গোকুলপুরী, জোহরি এনক্লেভ এবং শিব বিহার মেট্রো স্টেশন বন্ধ রাখা হয়েছে।উত্তর-পূর্ব দিল্লির সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলও বন্ধ রাখা হয়েছে। একাধিক জায়গায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা।
চাঁদবাগে নর্দমার মধ্যে আইবি অফিসার অঙ্কিত শর্মার গুলিবিদ্ধ, ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধারের পর সেখানেও ক্ষোভের আগুন জ্বলেছে। গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত চাঁদবাগ। অভিযোগের আঙুল স্থানীয় আপ বিধায়ক তাহির হুসেনের দিকে।
বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক