বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
মিয়ানমারের নতুন মিলিটারি কমান্ডার রাখাইনে পরিদর্শন করেছেন। সে সময় রোহিঙ্গা মুরব্বিদের সঙ্গে আলাপকালে আর্মিরা বলেছেন, ধাপে ধাপে মিয়ারমারে রোহিঙ্গার বিষয়গুলো সমাপ্ত করা হবে। আর এগুলো শুনে কতুপাংলয়ের রোহিঙ্গারা মহাখুশি। আর্মি তাদের অভয় দিয়েছেন।
শনিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এ কথা বলেন।
মন্ত্রী জানান, সামরিক অভ্যুত্থানের কারণ ব্যাখ্যা করে মিয়ানমারে সামরিক সরকার বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে চিঠি দিয়েছে। মিয়ানমারের রাখাইনে থাকা রোহিঙ্গাদের ধাপে ধাপে অবস্থার পরিবর্তন হবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন সামরিক কর্মকর্তারা। অং সান সু চি ক্ষমতায় থাকাকালে সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালালে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে লাখ লাখ রোহিঙ্গার ঢল আসতে শুরু করে বাংলাদেশে।
সে সময় মানবিক দিক বিবেচনায় বাংলাদেশ সরকারও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়। কিন্তু ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চিকে আটক করে এবং সেনাবাহিনী দেশটির পুরো নিয়ন্ত্রণ নেয়।
এ অবস্থায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়া ব্যাপারে বিভিন্ন মহলে যখন সংশয় চলছিল, তখন মিয়ারমারে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
শনিবার রাজধানীতে আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এ তথ্য জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো জানান, মিয়ানমার সেনাবাহিনী বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে চিঠি দিয়ে সেনা অভ্যুত্থানের কারণ ব্যাখ্যা করেছে।