বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
নিরাপত্তার কারণে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। এ সিদ্ধান্ত দেশটির কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এই সময় জানায়, পৌষ মেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে সোমবার সকালে রীতিমতো রণক্ষেত্র বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। ভাঙচুর চালানো হয় মাঠের পাশের অস্থায়ী নির্মাণে। এমনকী ভাংচুর করা হয় পাঁচিল তৈরির সরঞ্জামেও। এরপরই অনির্দিষ্টকালের জন্যে বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা করেন কর্তৃপক্ষ। যদিও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের এহেন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবার বিক্ষোভে নামলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাই।
পড়ুয়াদের দাবি, পৌষ মেলার মাঠে পাঁচিল তোলা যাবে না। কংক্রিটের জঙ্গল করে তোলা যাবে না ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানকে। শুধু তাই নয়, কোন অবস্থাতেই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের মতো পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না বলেও এদিন দাবি করেছেন তাঁরা। আর সেই কারণে এদিন সন্ধ্যা থেকেই উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা।
তাঁদের হাতে ছিল নানা পোস্টার। কোনওটিতে লেখা ছিল, ‘সংঘি-ভিসি গো ব্যাক’, কোনওটিতে আবার লেখা, ‘বিশ্বভারতী বন্ধ করা চলবে না’, আবার কোনওটিতে লেখা, ‘NEP মানি না।’ পড়ুয়াদের একটা বড় অংশেরই অভিযোগ, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই উপাচার্য এই ধরনের কাজ করে চলেছেন।’ কেন্দ্রের নতুন শিক্ষানীতিরও সমালোচনা করেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, এতে নতুন পড়ুয়াদের বিস্তর সমস্যায় পড়তে হবে।
উল্লেখ্য, এদিন বিকেলে বিশ্বভারতীর ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ওখানে একটা নির্মাণ হচ্ছিল। অনেক মানুষ ছিল, অনেকেই ছিলেন যারা বহিরাগত। তবে এই নির্মাণ বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা, বোলপুরের মানুষ এটা মেনে নেয়নি। তাঁরা প্রতিবাদ করেছে। আমি জানতে পেরেই জেলাশাসককে বলি একটা মিটিং করতে। বলেছি বিশ্বভারতীর উপাচার্য, ছাত্রদের প্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিদের নিয়ে মিটিং করতে।’ শুধু তাই নয়, তিনি স্পষ্টতই জানান, ”আমি চাইনা ওখানে কোন নির্মাণ হোক।এমন কিছু যাতে না হয়, যাতে বাংলার ঐতিহ্যে আঘাত লাগে। কোন গৌরব আঘাতপ্রাপ্ত না হয়, সেটা আমাদের দেখা উচিত।’ জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই জেলাশাসক বৈঠক ডাকতে উদ্যোগী হয়েছেন।