বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বাড়ির সাথে নির্মিয়মাণ আরেকটি ভবনের বেজমেন্টের পানি নিয়ে কয়েকদিন ধরে চলমান নানা জল্পনা-আলোচনার আপাতত অবসান হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস সেখানকার পানি অপসারণশেষে আজ রবিবার দুপুর সোয়া একটার দিকে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। তবে তারা এ সময় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।
সকাল থেকে পানি অপসারণের কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। কাজশেষে ঘটনাস্থল ত্যাগের সময় তারা সংবাদমাধ্যমের সাথে আনুষ্ঠানিক কিছু বলতে চাননি। তবে, তবে নাম প্রকাশ করতে চাননি এমন একজন কর্মী জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। সেচের কাজ শেষ করে দুপুর ১টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের মোহাম্মদপুর স্টেশনের তিনটি ইউনিট এক এক করে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ত্যাগ করে।
সকালে মোহাম্মদপুর ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার মিজানুর রহমান জানিয়েছিলেন, নিচে যে পানি জমা আছে সে পানিটাই শুধু আমরা সরিয়ে দিচ্ছি, অন্য কিছু এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি না।
![](https://www.businesstoday24.com/wp-content/uploads/2025/02/যত-জল্পনা-কল্পনা-এই-জায়গাটা-নিয়ে-225x300.jpg)
এই পানিটা এখানে এলো কীভাবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বেজমেন্ট ওয়ান এবং বেজমেন্ট টুতে পানিটা মূলত বৃষ্টির পানিও হতে পারে। সে পানিটাই আমরা সরিয়ে দিচ্ছি। এখানে আড়াই লাখ লিটার পানি আছে ধারণা করছি আমরা। কতদিন আগের পানি হতে পারে এমন প্রশ্ন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভবনটা নতুন খুব বেশি দিন আগের পানি হবে না। পানিটা দেখে খুব বেশিদিন আগেরও মনে হচ্ছে না।
পানি সেচের কাজ করা এক শ্রমিক জানান, তিনি পানির নিচে হাতিয়ে দেখেছেন বেশ কিছুক্ষণ। তবে কিছু না পেয়ে পরে উঠে যান। যাওয়ার সময় তাকে জিজ্ঞেস করলে বলেন, নিচে কিছু নাই, এটা লিফটের জন্য জায়গা করা বলে মনে হচ্ছে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনলাইনে বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদস্বরূপ ৩২ নম্বরের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ ‘ছাত্র-জনতা’। বাড়ির পাশেই নির্মাণাধীন ভবনে উপস্থিত হয় বিক্ষুব্ধরা। সেই ভবনের কয়েকতলা বেজমেন্ট দেখতে পায় তারা। তার মধ্যে দুই তলা পর্যন্ত নামতে পারলেও পরবর্তী ফ্লোরে পানি দেখা যায়। অনুমান করা হয়, নিচে আরও কয়েকটি তলা রয়েছে।
তবে দুপুরে এই পুরো বেজমেন্টে সরেজমিনে দেখা যায়, বেজমেন্টের প্রথম তলা শুকনো থাকলেও দ্বিতীয় তলায় পানি জমে আছে। এ পানির ভেতর অনেককেই কোনো কিছু খুঁজতে দেখা যায়। আবার কাউকে কাউকে বেরিয়ে থাকা রড কেটে নিয়ে যেতেও দেখা গেছে।