Home অন্যান্য নাক ডাকার সমস্যা সমাধানের উপায়

নাক ডাকার সমস্যা সমাধানের উপায়

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

ঘুমের মধ্যে নাক ডাকলে অন্যদের বিরক্তির কারণের পাশাপাশি নিজেও অস্বস্তিতে পড়তে হয় ৷ এই নাক ডাকার জন্য অনেক সময় অনেকের হাসির পাত্র হতে হয়। তবে যিনি নাক ডাকেন তিনি সাধারণ কতগুলো নিয়ম মেনে চললে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারে।

১. কাত হয়ে ঘুমান: কাত হয়ে ঘুমানো চেষ্টা করুন ৷ চিত হয়ে ঘুমালে গলার পেশি থাকে শিথিল। ফলে নাক ডাকার আশঙ্কা বাড়ে। তাই যাদের নাক ডাকার সমস্যা রয়েছে তারা কাত হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস করে দেখতে পারেন।

২. ওজন কমান: ওজন কমানোর দিকে নজর দিন ৷ যাদের ওজন বেশি তাদের এই সমস্যা বেশি। শ্বাস নেয়ার সময় টিস্যুগুলোর ঘর্ষণে শ্বাস নেয়ার সময় শব্দ হয়। এজন্য ওজন কমানোর চেষ্টা করা উচিত।

৩. নেশাজাতীয় দ্রব্য ও ঘুমের ওষুধ ত্যাগ: নেশাজাতীয় দ্রব্য ও ঘুমের ওষুধ পরিহার করুন৷ অ্যালকোহল বা নেশা জাতীয় দ্রব্য মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলার সঙ্গ সঙ্গে অন্যান্য শারিরীক সমস্যার সৃষ্টি করে। অ্যালকোহল বা নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবনের কারণে অনেকে নাক ডাকেন। তাই নেশা জাতীয় দ্রব্য বাদ দেন।

৪.কম বালিশ ব্যবহার: বেশি বালিশ নেওয়া দরকার৷ বুকের চেয়ে মাথা উপরে থাকলে নাক ডাকার আশঙ্কা অনেকটা কমে যায়। তাই মাথার নিচে কয়েকটি দিয়েও নাক ডাকা কমানো যেতে পারে।

৫.নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমান: শরীরের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার অনেক কিছুই অভ্যাস নিয়ন্ত্রিত। তাই নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করা উচিত। এতে করে নাক ডাকার প্রবণতা কমবে।

৬.শরীরচর্চা করুন: শরীরচর্চা রক্ত চলাচল ভালো রাখে এবং এতে ‍ঘুমও ভালো হয়। এ জন্য নাক ডাকা কমাতে প্রতিদিন শরীরচর্চার অভ্যাস করতে হবে।

৭.পানি পান করুন: প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এতে করে নাসারন্ধ্রে লেগে থাকা আঠার মতো দ্রব্যগুলো দূর হবে।

৮.তাড়াতাড়ি রাতের খাবার: ঘুমাতে যাওয়ার দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খাওয়া দরকার৷ যাতে জেগে থাকা অবস্থায়ই খাবার হজম হয়ে যাবে। ফলে রাতে ভালো ঘুম হবে। নাক ডাকাও কমবে।