বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: নারায়ণগঞ্জে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১১ জন মারা গেছেন। আজ শনিবার সকালে মৃত্যুর বিষয় নিয়ে কথা বলেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল।
ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, এ পর্যন্ত এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় শিশু ও মুয়াজ্জিনসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- রিফাত (১৮), মোস্তফা কামাল (৩৪), জুবায়ের (১৮), সাব্বির (২১), কুদ্দুস ব্যাপরী (৭২), হুমায়ুন কবির (৭০), ইব্রাহিম (৪৩), মোয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮), জুনায়েদ (১৭), জামাল (৪০) ও জুবায়ের (৭)।
শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার পশ্চিম তল্লার বাইতুছ সালাত জামে মসজিদে এশার নামাজ শেষে মোনাজাত চলাকালে এসি বিস্ফোরণ হয়। এতে ওই মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জিনসহ গুরুতর দগ্ধ ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে ১১ জন মারা গেছেন এ পর্যন্ত।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার পশ্চিম তল্লার বাইতুছ সালাত জামে মসজিদে এশার নামাজ শেষে মোনাজাত হচ্ছিল। এ সময় হঠাৎ বিকট শব্দে মসজিদের কাছের বৈদ্যুতিক ট্রানসফর্মারে বিস্ফোরণ ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে মসজিদের ভেতরে এসির বিস্ফোরণও ঘটে। মুহূর্তে মসজিদের ভেতরে আগুন ধরে যায়। আগুনের ফুলকি ছড়িয়ে পড়লে মুসল্লিরা দগ্ধ হতে থাকেন।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকায় বাইতুছ সালাত জামে মসজিদে রাত পৌনে ৯টার দিকে হঠাৎ করে এসিতে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে।
এটি নিছক দুর্ঘটনা না কি পরিকল্পিত হামলা- এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের(সিটিটিসি) বম্ব টিমের ইনচার্জ ও অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. রহমতুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি, এটি কোনো সন্ত্রাসী হামলা নয়। বার বার লোডশেডিংয়ের কারণে মসজিদের এসির কম্প্রেসারগুলোর এক সাথে বিস্ফোরণ ঘটেছে। যার কারণে অনেক বেশি মুসল্লি দগ্ধ হয়েছেন।
ফায়ার বিগ্রেডের উপ পরিচালক দেবাশীষ বর্ধন বলেন, দেড় টনের ছয়টি এসি ছিল। সব একসঙ্গে বিস্ফোরিত হয়েছে। এসিতে ব্যবহৃত ফ্রেয়ন গ্যাসের অস্তিত্ব আমরা মসজিদের ভেতরে বাতাসে পেয়েছি। এর পেছনে অন্য কোনো ঘটনা আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।