Home সারাদেশ না টেস্ট, না ডাক্তার, বাড়িতেই মারা যাচ্ছেন

না টেস্ট, না ডাক্তার, বাড়িতেই মারা যাচ্ছেন

বাকী বিল্লাহ

লক্ষ্মীপুর জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক আক্রান্ত ব্যক্তি করোনা টেস্ট করেন না। ডাক্তারও দেখান না। বাড়িতে থেকে মারা যাচ্ছেন। প্যারাসিটামলই তাদের ভরসা। জেলার গ্রাম থেকে শুরু করে চরাঞ্চলেও এখন করোনা রোগী ছড়িয়ে পড়েছে। জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সংক্রমণ ঠেকাতে আক্রান্তদের বাড়িতে লকডাউন ও গ্রাম পুলিশ মোতায়েন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের একাধিক সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে।

লক্ষ্মীপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, লক্ষ্মীপুর জেলায় ২৪ ঘণ্টায় ২৫১ জনের করোনাভাইরাস টেস্ট করে ৭২ জন শনাক্ত হয়েছেন। করোনা শুরু থেকে মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৭৭৫ জন শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৫৭ জন।

গত জুন মাস থেকে করোনা সংক্রমণ জেলায় বাড়তে শুরু করলেও চলতি মাসের প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যে গত ১১ জুলাই ৪২ জন শনাক্ত হয়েছেন। ১২ জুলাই ৬৪ জন শনাক্ত ও মঙ্গলবার ৭২ জন শনাক্ত হয়েছেন।

আক্রান্তদের মধ্যে বাসা-বাড়িতে চিকিৎসাধীন আছেন ৫১১ জন। হাসপাতালে ২৭ জন ভর্তি আছেন। তার মধ্যে ১৫ জনই করোনা পজেটিভ। অন্যদের করোনা সিমট্রম আছে। আইসিইউ বেডে ৩ জন আছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনাভাইরাস জেলার গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ছে। এমনকি চরাঞ্চলে রোগী আছে। মঙ্গলবার জেলার চন্দ্রগঞ্জের গ্রাম পর্যায়ে আবদুল লতিফ নামে একজন করোনা রোগী মারা গেছেন। তিনি কোন টেস্ট করেনি। করোনা চিকিৎসাও নেননি। তার মতো বহু আক্রান্ত রোগী আছেন। যারা জ্বর, সর্দি ও কশি নিয়ে বাড়িতে আছেন। তারা করোনা টেস্টও করেন না, ডাক্তারও দেখান না। বেশি দরকার হলে গ্রামের পাড়া মহল্লার দোকান থেকে প্যারাসিটামল বা নাপা ট্যাবলেট নিয়ে খান। এ ধরনের আক্রান্ত ও মৃতদের কোন তথ্য বা ডাটা জেলা স্বাস্থ বিভাগের কাছে নেই।

এ সম্পর্কে লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবদুল গফফারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, জেলায় সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় তার জন্য রোগীদের বাড়িতে লাল পতাকা ঝুলিয়ে লকডাউন করে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আর লকডাউনকৃত রোগীদের বাড়িতে গ্রাম পুলিশ মোতায়েন করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এ নিয়ে জেলার উচ্চ পর্যায়ে মিটিং হয়েছে। এখন ৫শ’র বেশি বাড়িতে করোনা রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। তার মতে, জেলায় অনেকেই আছেন যারা আক্রান্ত হওয়ার খবরও দেন না। টেস্টও করেন না। তাদের মৃত্যুর খবর জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে নেই।

-সংবাদ