Home First Lead নির্বাচনী ইশতেহার: রেজাউলের ৩৭, শাহাদাতের ৭৫

নির্বাচনী ইশতেহার: রেজাউলের ৩৭, শাহাদাতের ৭৫

নাজমুল হোসেন

চট্টগ্রাম: বরাবরের মত চট্টগ্রামের জলবদ্ধতা নিরসন, যানজট সমস্যা থেকে উত্তরণ, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সহ ৩৭ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী। অপরদিকে, পরিবেশ দূষণ ও ভেজালমুক্ত করণ, টেন্ডারবাজী ও চাঁদাবাজমুক্ত করণ, জলাবদ্ধতামুক্ত, স্বাস্থ্যকর, শিক্ষাবান্ধব, গৃহকর ও আবাসন সুবিধা, পরিচ্ছন্ন চট্টগ্রাম, নিরাপদ, সাম্য-সম্প্রীতির, নান্দনিক পর্যটন নগর এবং তথ্য প্রযুক্তি সমৃদ্ধ চট্টগ্রাম গড়তে ৭৫ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে বিএনপি মনোনীত  মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন।

তবে উভয় প্রার্থী নির্বাচনী ইশতেহারে গুরুত্ব দিয়েছেন নগরীর ভঙ্গুর স্বাস্থ্যসেবা খাতকে। এর বাইরে রাজস্বসহ সব সেবাখাতকে ‘ওয়ান স্টপ’ ডিজিটাল সার্ভারের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে  ইশতেহারে। তাছাড়া বলা হয়েছে ১০০ দিনের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চলমান মহাপরিকল্পনা-উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা হবে।

শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে নগরের প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে রেজাউল করিম এবং দুপুর ১২ টায় জামালখান এলাকার দাওয়াত রেস্টুরেন্টে ডা.শাহাদাত হোসেন  ইশতেহার ঘোষণা করেন।

আওয়ামী লীগ ও নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ও নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর নির্বাচনী ইশতেহারের ৩৭ দফার মধ্যে রয়েছে- জলবদ্ধতা নিরসন ও  সিডিএ, ওয়াসা, সিটি কর্পোরেশন এর  চলমান কাজে সর্বোচ্চ মনোযোগ,  খাল নদী পুনরুদ্ধার ও পানি নিষ্কাসন উপযোগী করতে ১০০ দিনের মধ্যে সব ত্রুটি ও প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করে তা নির্মূলে আইন প্রয়োগ নিশ্চিত করা, যানজট সমস্যা থেকে উত্তরণ, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য বাসস্থান নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা। তাছাড়াও করোনা কালে স্বাস্থ্যসেবার পৃথক ৭ টি কাজ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

রেজাউল বলেন, আমার কিছু পাওয়ার নেই। পারিবারিক ভাবে সব পার্থিব অর্জন আমার আছে। সুযোগ পেলে নিজের মেধা-মনন, কর্ম, সবকিছু নগরবাসীর জন্য উৎসর্গ করাই আমার আসল অঙ্গীকার।

অপরদিকে ডা.শাহাদাত বলেন, ‌‌নগর পিতা নয়, আমি নগর সেবক হতে চাই। ছাত্র জীবন থেকে চেষ্টা করেছি চট্টগ্রামের গণমানুষের পাশে দাঁড়াতে। নির্যাতিত, নীপিড়িত মানুষের সুখ দুঃখের সাথী হতে।

তিনি আরো বলেন, একজন ডাক্তার হিসেবে আমি স্বাস্থ্যসেবায় সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে পারবো বলে মনে করি। একটি পরিচ্ছন্ন নগর এবং নগরবাসীর উন্নত জীবন গড়তে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা, নগরের সৌন্দৰ্য্যবৃদ্ধি, অসাম্প্রদায়িক পরিবেশ, নাগরিক বিনােদন, কর্মসংস্থান, পরিবেশ দূষণ ও ভেজালমুক্ত করণ, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজমুক্ত করণ, সর্বপ্রকার স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ, সর্বোপরি কর্পোরেশনের সম্পদের সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সুষম বণ্টন এবং নগরবাসীকে অন্যায্য কর আরােপ হতে ভারমুক্ত রাখা সহ প্রভূত উদ্যোগ নেয়া হবে।অবৈধ দখল উচ্ছেদ, স্বজনপ্রীতি মুক্ত করণ এবং জলাবদ্ধতা নিরসন চ্যালেঞ্জ-উত্তরণে আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।