বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
নোয়াখালী: নির্দিষ্ট সময়ের পর আরও ৭ মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। এখনো ৮০ শতাংশ কাজ বাকি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সর্ববৃহৎ ১০তলা একাডেমিক-৩ ভবনের নির্মাণ কাজের।
জানা যায়, বহুতল এ ভবনটির টেন্ডার আহ্বান করে ২০১৮ সালের এপ্রিলে জি কে স্বপনের একটি প্রতিষ্ঠানকে প্রকল্পটির কাজ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
৩০ মাস সময় বেঁধে দিলেও ৩৭ মাস পার করেও প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। এমনকি দ্বিতীয় মেয়াদে সময় বৃদ্ধি করার পর এখন পর্যন্ত ভবনের দুই তলার ছাদ ঢালাই সম্পন্ন করে তৃতীয় তলার আংশিক কাজ শুরু হয়েছে। তবে এমন বিলম্বিত হওয়ার জন্য শ্রমিকদের ওপর দায় চাপাচ্ছেন প্রকল্পটির তদারক আবু মুসা ফাতহুল বারী টুটুল।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের দুই তলার কাজ আংশিক সম্পন্ন হলেও সেটি অপূর্ণাঙ্গ এবং তিন তলার কাজ কিছুটা করা হলেও হাতেগোনা কয়েকজন শ্রমিক দিয়ে খুড়িয়ে চলছে প্রকল্পটি। আবার অধিকাংশ শ্রমিকের অভাবে বন্ধ থাকতে দেখা যায় নির্মাণ কাজ।
জানা যায়, মূল প্রকল্পের ঠিকাদারি জিকেবিএল (জে.ভি) নামের একটি প্রতিষ্ঠান নিলেও প্রকল্পের ইনচার্জ মইনুদ্দিন চৌধুরীর সাথে এখন পর্যন্ত যোগাযোগ করেনি প্রতিষ্ঠানটির মালিক জিকে স্বপন।
বিলম্বিত হওয়া প্রকল্পের সার্বিক অবস্থা নিয়ে জানতে চাইলে আবু মুসা ফাতহুল বারী টুটুল জানান, করোনার পূর্ব পর্যন্ত কাজ ঠিকমত চললেও করোনার পরবর্তীতে কাজ খুবই ধীরে চলছে। কাজের ধীরগতির জন্য তিনি শ্রমিকদের অনুপস্থিতিকে দায়ী করেন।করোনা শুরু হওয়ার পর তারা বাড়িতে চলে গেছে এখনো তারা ফিরে আসেনি তারা আসলেই কাজগুলো খুব দ্রুতভাবে অগ্রসর হবে।
এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির প্রকল্প ম্যানেজার মোহাম্মদ আরিফ জানান, নোবিপ্রবির প্রকল্পটির জন্য হেড অফিসে মিটিং করবেন। এছাড়া খুব শিগগিরই নতুনভাবে কাজ শুরু করা হবে বলে জানান।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী জিয়াউদ্দিন হায়দার জানান, আমরা কাজ শুরু করার জন্য বারবার যোগাযোগ করেছি। তারা আমাদের প্রতিবার আশ্বাস দিয়েও কাজ শুরু করেনি। গত কয়েকদিন আগে ফার্মের কাছে অফিসিয়াল নোটিশ দিয়েছি সেই নোটিশের ফলাফল এখনো আমাদের নিকট পৌঁছায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ দিদার-উল-আলম এ বিষয়ে বলেন, প্রকল্পটি নিয়ে আমাদের কাছে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে আমরা বিভিন্ন মেয়াদে সময় বেঁধে দিয়েও এখন কাজের তেমন কোনো অগ্রগতি পাইনি। আমরা প্রস্তাব করেছি তারা যদি কাজ করতে না পারে তাদের পরিচিত অন্য প্রকল্পের কাছে হস্তান্তর করে দিতে এবং বর্তমানে যে ৩ তলা নির্মাণ করা হয়েছে এটি ক্লাসরুমের জন্য প্রস্তুত করে দেওয়ার জন্য। দুটি প্রস্তাবের কোনো প্রস্তাবে তারা সাড়া দেয়নি। এছাড়া কাজটি দ্রুত শুরু করতে বিভিন্ন মাধ্যমে চেষ্টা করেছেন বলে জানান উপাচার্য প্রফেসর দিদার-উল-আলম।