মোহাম্মাদ ইমাদুল হক ফিরদাউছ প্রিন্স:
আধুনিক কৃষিবিজ্ঞান, প্রকৌশল, প্রযুক্তি ও ব্যাবসায় প্রশাসন বিভাগে দক্ষ জনশক্তি গড়ার লক্ষ্য নিয়ে ২০০০ সালের ৮ জুলাই যাত্রা শুরু করে দেশের দক্ষিনাঞ্চলের সর্বশ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। দেখতে দেখতে এই সবুজ ক্যাম্পাস আজ পার করছে ২১ টি বছর। ক্যাম্পাসটি নিজস্ব ঐতিহ্য ও স্বাতন্ত্র বজায় রেখে প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে আজ ৮ জুলাই (শুক্রবার) পদার্পণ করতে যাচ্ছে গৌরবময় সাফল্যের ২২ বছরে।
২০০০ সালের ৮জুলাই দক্ষিণ বঙ্গের সর্বপ্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে। স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সুযোগ্য কন্যা বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ বঙ্গের জনগণের উন্নয়ণের কথা বিবেচনা করে এই দিনে পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলায় সাবেক পটুয়াখালী কৃষি কলেজের অবকাঠামোতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন করেন। এ জন্য পবিপ্রবির মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর বরেণ্য কৃষি বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত স্যার পবিপ্রবির ২২তম জন্মদিন উপলক্ষে দেয়া তাঁর বাণীতে গণতন্ত্রের মানষকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় দুমকি উপজেলাবাসীসহ পটুয়াখালী এবং বরিশাল জেলার সাধারণ জনগণ ও নেতৃবৃন্দকেও তিনি ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
প্রতিষ্ঠার পর হতে বিশ্ববিদ্যালয়টি আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে প্রাগ্রসর অবদানের জন্য আজ দেশ-বিদেশে বিশেষ পরিচিতি লাভ করেছে। প্রাথমিকভাবে কৃষি, সিএসই ও বিবিএ তিনটি অনুষদে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির মাধ্যমে শিক্ষা কর্যক্রম শুরু হয় যা সময়ের পরিক্রমায় আজ আটটি অনুষদের অধীনে (কৃষি অনুষদ, সিএসই অনুষদ, বিএএম অনুষদ, মাৎস্য জ্ঞান অনুষদ, এ্যানিমাল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদ, নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সায়েন্স অনুষদ এবং ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড এ্যাডমিনিস্ট্রেশন অনুষদ) শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এই আটটি অনুষদের অধীনে ৯টি ডিগ্রী প্রদান করা হচ্ছে। ৮৯ দশমিক ৯৭ একর আয়তনের ওপর প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে স্নাতক পর্যায়ে ৩৬৯১ জন, স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ৪৫১ জন এবং পিএইচডি পর্যায়ে ২৪ জন ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়নরত আছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যাতায়াতের জন্য রয়েছে বাস, মিনিবাস ও মাইক্রোবাসের সুবিধা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ভবনগুলোতে লাগানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ২৫৩ জন শিক্ষক, ১৮৩ জন কর্মকর্তা ও ৫২৯ জন কর্মচারী নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধা প্রদানের জন্য পাঁচটি ছাত্র হল এবং তিনটি ছাত্রী হল রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের সর্ববৃহৎ শিক্ষালয় হিসেবে সুনামের সঙ্গেই এর অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে। এ ক্যাম্পাসের হাজার হাজার প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী দেশ-বিদেশের নানা প্রতিষ্ঠানে উচ্চতর পদে কর্মরত রয়েছে।
এটি নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও গরিব পরিবার থেকে আসা শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার জন্য আদর্শ স্থান। বাস্তবিকভাবেই পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলা শহরের দৈনন্দিন খরচ অন্যান্য বড় শহরের তুলনায় কম। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক ব্যয়ও অসচ্ছল পরিবারের সামর্থ্যের মধ্যে রাখা হয়েছে। প্রায় সকল শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন ব্যবস্থা চালু আছে। তারপরও বরিশাল বিভাগীয় শহর ও পটুয়াখালী জেলা শহর থেকে আসা-যাওয়ার জন্য রয়েছে সাশ্রয়ী পরিবহন ব্যবস্থা। বর্তমান ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত স্যারের ঐকান্তিক প্রচেস্টায় ক্যাম্পাসটিকে ডিজিটাল ক্যাম্পাস করার এবং বর্তমান অনলাইন সুবিধা অত্যন্ত প্রশংসিত। তিনি লাইব্রেরিকে আধুনিক মানের করার জন্য নিয়েছেন বহুবিধ পরিকল্পনা। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে প্রায় স্থবির শিক্ষা কার্যক্রমকে সচল করার লক্ষ্যে অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে একটি রিকভারি প্লান তৈরীর উদ্দ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এবিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বমানের গ্রাজুয়েট তৈরীর জন্য মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর সময়োপযোগী পদক্ষেপগ্রহণ করেছেন । সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে দুমকিসহ পটুয়াখালী, বরগুণা ও বরিশাল জেলার বিভিন্ন প্রান্তিক চাষীদের চাষাবাদের ক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার, তথ্য-প্রযুক্তির প্রসার, মৎস্যজীবীদের উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে মাছ চাষ, মাছের পরিচর্যা ও সংরক্ষণ, গবাদী পশু পালন ও চিকিৎস্যা সুবিধা প্রদান, খাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ে সচেতনতা তৈরীর লক্ষ্যে প্রশিক্ষন প্রদানসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত করছেন।
এছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের লক্ষ্যে সিএসই অনুষদ এবং কৃষি ব্যবসা ও বিপনন ব্যবস্থপনার জন্য বিএএম অনুষদ একত্রে কাজ করে চলছে। দেশ বিদেশের বিভিন্ন সংস্থার অর্থায়নে ৮৪ টি গবেষণা প্রকল্প চলমান রয়েছে। এ সব গবেষণা প্রকল্প থেকে আহরিত জ্ঞান দেশের উন্নয়নের কাজে লাগানো হচ্ছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়টির উত্তোরত্তর উন্নয়নের জন্য বর্তমানে প্রায় সাড়ে-চারশত কোটি টাকার ফার্দার ডেভলপমেন্ট প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ও অবোকাঠামোগত ব্যাপক উন্নতি সাধিত হবে। সমুদ্র ভিত্তিক অথনৈতিক কার্যক্রম ( ব্লু-ইকোনমি) জোরদারকল্পে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় মেরিন সায়েন্স এন্ড রিসার্স ইনস্টিটিউট স্থাপনের উদ্দোগ নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের ২০৪১ সালের ভিশন ‘উন্নত বাংলাদেশ’ গঠনের লক্ষ্যে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো একটি বিষয় না বললেই নয়, সেটি হলে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য। প্রকৃতির অপরূপ শোভা আর দৃষ্টিনন্দন অবকাঠামো যেকোনো মানুষকেই বিমোহিত করে। এ ক্যাম্পাসে রয়েছে সারি সারি নারিকেল গাছসহ হরেক রকমের গাছ-গাছালি, ক্যাম্পাসের ভেতরে রয়েছে কয়েকটি প্রশস্ত লেক যা ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য অনেকাংশে বৃদ্ধি করেছে। প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে স্থাপন করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্য ও মুর্যাল, সাত বীরশ্রেষ্ঠের আবক্ষ ভাস্কর্য, ‘জয়বাংল’ নামে এক মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি ভাস্কর্য। এ ক্যাম্পাসটি দশর্নীয় স্থান হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে অনেক পযর্টক ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখানে ভিড় জমায়।
শিক্ষা, গবেষণা, উচ্চশিক্ষা গ্রহণ ও আদর্শ মানুষ হিসেবে আমাদের গড়ে তোলার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। একটা সময় সদা-সর্বদা অস্থিতিশীল অবস্থা, নানা প্রতিকূলতা, বাধা-বিপত্তি ও বন্ধুর পথ পাড়ি দিলেও বর্তমান সময়ে এসে জ্ঞান, গবেষণা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোতে প্রাণের পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় তার পদযাত্রা অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলোর গবেষণা ও আধুনিক ক্যাম্পাস নির্মাণের পেছনে পর্যাপ্ত পরিমাণ বাজেট ঘোষণা করা হয় না। শীঘ্রই এই সঙ্কট দূর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা গবেষণা ক্ষেত্রে যাতে পূর্ণ মনোযোগ দিতে পারেন সেদিকে সচেষ্ট হওয়া উচিত।
এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহশিক্ষা কার্যক্রমের স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানগুলোর এ্যালামনাইরাও তাদের স্ব-স্ব ক্ষেত্রে জ্যোতি ছড়াচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিএসই অনুষদের এলামনাই ও র্যাংগস টেলিকমের সিনিয়র সফটওয়্যার প্রকৌশলী আবুবকর সিদ্দিক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষায় ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে পবিপ্রবি অবদান অনস্বীকার্য। এ বিষয়ে আরও কথা হয় পবিপ্রবির কৃষি অনুষদের সাবেক ছাত্র, পবিপ্রবির বায়োকেমেস্ট্রি ও ফুড এনালাইসিস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য-সচিব সুজন কান্তি মালির সাথে। তিনি বলেন- কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পবিপ্রবি নতুন-নতুন ফসলের জাত উদ্ভাবন করে দেশের কৃষিকে সমৃদ্ধি এনে দিয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর পশ্চাৎপদতা কাটিয়ে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান, কৃষি ও তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করার পেছনে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অনস্বীকার্য।
অন্যান্য বছর নানা কর্মস‚চির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন, সব আবাসিক হল, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্ট, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভবনে শোভা পায় রঙ-বেরঙের আলোকসজ্জা, গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোকে সাজানো হয় নানা রকম আল্পনা দিয়ে। তবে এবারে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিশাল আকার ধারণ করায় বড় ধরনের কর্মসূচি পালনে সরকারের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেজন্যে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ একেবারে সীমিত পরিসরে দিবসটি পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবার আয়োজনের মধ্যে থাকবে সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে ফুল দেয়া, বৃক্ষরোপন কর্মসূচী ও ভার্চুয়াল অনলাইনে আলোচনাসভা।
জীবন, সময়, রাষ্ট্র, সমাজব্যবস্থা, বিশ্ব-সবই এগিয়ে যাচ্ছে। সমযয়ের সাথে সাথে সবকিছুরই পরিবর্তন হচ্ছে। আমাদের পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ও যাতে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে এবং প্রতিটা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নিজের ঝুলিতে সুন্দর সুন্দর প্রাপ্তি যোগ করতে পারে সেদিকে নজর রেখে প্রতিষ্ঠানটির সর্বস্তরের প্রত্যেককেই সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে।
দুই দশকের ইতিহাসের ধারা লালন-পালন করে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। ভবিষ্যতে আরো নাম ডাক খ্যাতি হবে আরো দেশের আরো বিখ্যাত ব্যক্তিরা বের হবে এখান থেকে। এগিয়ে যাক শিক্ষার্থীদের প্রাণের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
আমরা আশা করছি, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ, নান্দনিক ও অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আমরা গৌরবের সাথে একে একে রজতজয়ন্তী, প্লাটিনাম ও শতবর্ষ জয়ন্তী উদযাপন করবো। পবিপ্রবির কাছে দক্ষিণাঞ্চলবাসীর অনেক প্রত্যাশা। ছাত্র-ছাত্রীদের চোখে অনেক স্বপ্ন। সেই প্রত্যাশা পূরণের এবং সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের দায়িত্ব এর শিক্ষক কর্মকর্তা ও ছাত্র-ছাত্রীদেরই নিতে হবে।
দক্ষতা, কতর্ব্যনিষ্ঠা ও সততায় দিক্ষিত হোক এই ক্যাম্পাসের সকল কার্যক্রম, ধাবিত হোক উন্নয়নের মহাসড়কে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীর এটাই কামনা । দেশের অন্যতম সেরা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এর সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারির প্রতি রইলো প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন। জয়তু, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
লেখক : ডেপুটি রেজিস্ট্রার
পবিপ্রবি ইনোভেশন ডিসেমিনেশন সেন্টার
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।