নয়ন দাস
কুড়িগ্রাম: জেলার উলিপুরে পাওনা টাকা আদায় কেন্দ্র করে মারপিট ও কুপিয়ে ৫জনকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উলিপুর পৌরশহরের কাচারী পাড়া গ্রামে। ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আব্দুল খালেক(৪৫), মল্লিকা বেগম(৪০) ও মেহেদী হাসান(১৮) নামের তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ( ১এপ্রিল) রাতে নারিকেলবাড়ী কাজিরচক এলাকার থাই মিস্ত্রী জাহিদুল ইসলাম(৩৭) উলিপুর বাজার হইতে বাড়ি যাওয়ার পথে পৌরসভার কাচারী পাড়ায় পৌঁছালে পাওনা টাকা আদায় কেন্দ্র করে অভিযুক্ত আব্দুল খালেক(৪৫) ও তার ছেলে মেহেদী হাসান(১৮),মল্লিকা বেগম(৪০) ও নুরুজ্জামালসহ অভিযুক্তরা পথরোধ করে মারধর করে রক্তাক্ত করে বাড়িতে আটক করে রাখে। খবর পেয়ে জাহিদুলকে উদ্ধার করতে তার চাচাতো ভাই মমিনুল ইসলাম(২৮), এরশাদুল হক(৩০), জেহাদুল ইসলাম(২৬) ও জিয়ারুল ইসলাম(২৮) ঘটনাস্থলে গেলে আব্দুল খালেক, মেহেদী হাসান, মল্লিকা বেগম ও নুরুজ্জামালসহ অন্যান্যারা তাদেরকে বেধড়ক মারধর করে।
এসময় নুরুজ্জামাল ধারালো বটি দিয়ে এরশাদুলকে মাথায় ও বামহাতে কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা ৯৯৯এ ফোন করলে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে। আহত অবস্থায় মমিনুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম, এরশাদুল হক, জেহাদুল ইসলাম ও জিয়ারুল ইসলামকে চিকিৎসার জন্য উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
আহতদের মধ্যে মমিনুল ও এরশাদুলের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এঘটনায় শুক্রবার রাতে গুরুতর আহত মমিনুল ইসলামের পিতা জয়নাল আবেদীন বাদি হয়ে আব্দুল খালেকসহ ৭জন নামীয় ও অজ্ঞাতনামা ৪/৫জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হারিছুর রহমান জানান, এঘটনায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশী পাহারায় প্রধান আসামী আব্দুল খালেক উলিপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
এব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ইমতিয়াজ কবির জানান, আটক তিন আসামীর মধ্যে দু’জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আসামী আব্দুল খালেক পুলিশী পাহারায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
