Home আন্তর্জাতিক পাকিস্তানে ছিনতাই ট্রেন থেকে উদ্ধার ১০৪ জিম্মি, সশস্ত্র গোষ্ঠীর ১৬ জন নিহত

পাকিস্তানে ছিনতাই ট্রেন থেকে উদ্ধার ১০৪ জিম্মি, সশস্ত্র গোষ্ঠীর ১৬ জন নিহত

ছবি সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: জাফর এক্সপ্রেস অপহরণ-কাণ্ডে সাফল্য পেল পাকিস্তান সেনা। রাতভর বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মির (বিএলএ) সদস্যদের গুলির লড়াইয়ের পর ১০৪ জন জিম্মিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে সেনা। এদের মধ্যে রয়েছে ৫৮ জন পুরুষ, ৩১ জন মহিলা এবং ১৫ জন শিশু। সকলকে বোলানের নিকটবর্তী শহর মাচে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে তৈরি অস্থায়ী হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে আহতদের।

এই ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে সশস্ত্র গোষ্ঠীর অন্তত ১৬ সদস্য নিহত হয়েছেন। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, মঙ্গলবার বেলুচিস্তানের বোলান এলাকার কাছে কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস নামের যাত্রীবাহী ট্রেনে হামলা চালায় সশস্ত্র একটি গোষ্ঠী। তারা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে যাত্রীদের জিম্মি করে। রেডিও পাকিস্তান এবং পিটিভি নিউজ এর আগে নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছিল যে, বোলান পাসের ধাদার এলাকায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা জাফর এক্সপ্রেসে হামলা চালিয়ে নারী ও শিশুসহ যাত্রীদের জিম্মি করে রেখেছে। ওই সময় তাদের সঙ্গে ‘বিদেশি সহায়তাকারীদের’ যোগাযোগ ছিল।

পাক সেনার দাবি, অভিযানে এখনও পর্যন্ত অন্ত ১৬ জন বিদ্রোহী নিহত হয়েছে। যদিও সেই দাবি খারিজ করে দিয়ে বিএলএ-র জানিয়েছে, তাদের কোনও সদস্য নিহত হয়নি। উল্টে পাক সেনার ৩০ জন জওয়ান নিহত হয়েছেন। উদ্ধারকাজ এখনও চলছে। এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় জিম্মিদের উদ্ধারে বেগ পেতে হয়েছে সেনাকে। ধারণা করা হচ্ছে, বিদ্রোহীরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে কয়েকজন জিম্মিকে পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে।

মঙ্গলবার পাকিস্তানের বালুচিস্তানের কোয়েট্টা থেকে পেশোয়ারে যাওয়ার সময় জাফর এক্সপ্রেসকে হাইজ্যাক করে নেয় বিএলএ-র সদস্যরা। ন’টি কোচবিশিষ্ট ওই ট্রেনটিতে প্রায় ৫০০ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে শতাধিক জিম্মি হন। বিএলএ-র তরফ থেকে ঘটনার দায় স্বীকার করা হয়। বিএলএ তরফ থেকে হুঁশিয়ারি জারি করে বলা হয়েছে, “যদি সেনাবাহিনী কোনও সামরিক অভিযানের চেষ্টা করে, তাহলে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ। শত শত বন্দিকে মেরে ফেলা হবে। এর দায় সম্পূর্ণরূপে সেনার উপর বর্তাবে।”

মঙ্গলবার রাতেই অপহৃত ট্রেনটির কাছে পৌঁছে গিয়েছিল পাক নিরাপত্তাবাহিনীর উদ্ধারকারী দল। তাঁদের মধ্যে পাক সেনার ‘স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ’-এর কমান্ডোরাও ছিলেন। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে নিরাপত্তাবাহিনী। শুরু হয় অভিযান। বুধবার সকালে দীর্ঘ উদ্ধার অভিযানের পর মেলে সাফল্য।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি ‘শত্রু শক্তি’কে বালুচিস্তানে হিংসা চালিয়ে দেশে অস্থিরতা তৈরির ষড়যন্ত্রের জন্য অভিযুক্ত করেছেন।