Home Third Lead দাম বাড়ছে পেঁয়াজের

দাম বাড়ছে পেঁয়াজের

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

যশোর: পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। আড়তদাররা বলছেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা বন্ধ হওয়াতে এ অবস্থা দেখা দিয়েছে। তারা জানান, পেঁয়াজের উর্ধ্বগতিতে অনেক ক্রেতা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে সংরক্ষণ শুরু করায় স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের সংকট আরও বেড়ে যাওয়ার আশংকা তৈরি হয়েছে।
রোজার মাসেও যেখানে পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৩০টাকা কেজিতে, সেখানে চলতি মাসের শুরুতেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০টাকা কেজিতে। এক মাসের ব্যবধানেই দাম দ্বিগুন হয়েছে। ঈদের পর থেকেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে দাম। মাত্র চারদিনের ব্যবধানেই ৫০ এর কোটা ছাড়িয়েছে।
বুধবার যশোরের খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৫০ টাকা কেজিতে। শনিবার যশোরের বড় বাজারে তা বিক্রি হয় ৬০ টাকা কেজিতে। এদিন হাটচান্নি মার্কেটের বিভিন্ন আড়তে পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজিতে। সেই সাথে পাইকারি বাজারে গত বুধবার প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৪৫ টাকা কেজি দরে। ৭০ কেজি পেঁয়াজের বস্তা বিক্রি হয় ৩তিন হাজার একশ’ ৫০ টাকায়। শনিবার পাইকারি বাজারে তা বিক্রি হয় ৫৫ টাকা কেজিতে এবং ৭০ কেজি পেঁয়াজের বস্তা বিক্রি হয় তিন হাজার আটশ’ ৫০ টাকায়। সংকটের অজুহাতে ঈদের পর থেকেই পেঁয়াজের দাম ধাপে ধাপে বাড়তে থাকে। যা অব্যাহত রয়েছে।
ভারত থেকে পেঁয়াজ না আসা ও বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজ নষ্ট হওয়াকে দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে জানান আড়তদার ও খুচরা বিক্রেতারা। এদিকে, আড়ত ও খুচরা বাজারে যেমন পেঁয়াজের সরবরাহ কমেছে, তেমনি কমেছে বিক্রিও। তবে, দাম বেড়ে যাওয়ায় মজুদ রাখতে অনেক ক্রেতাই আড়তে তুলনামূলক কম দামে পেঁয়াজ কিনতে আসছেন। যা সঙ্কটকে আরও বাড়িয়ে দেবে বলছেন আড়তদার ও খুচরা বিক্রেতারা।
হাটচান্নি মার্কেটের হানিফ স্টোরের আড়তদার মোহম্মদ আলী বলেন, ‘তিন দিন আগেও যেখানে দিনে বিশ বস্তা পেঁয়াজ বিক্রি করেছি, সেখানে শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পাঁচ বস্তা বিক্রি করলাম।’
যশোর এজেন্সির আড়তদার আব্দুল মান্নান বলেন, ‘যশোরের চৌগাছার পেঁয়াজ শেষ হয়েছে। কুষ্টিয়া, ফরিদপুর ও মাগুরা থেকেও পেঁয়াজ সেভাবে আসছে না। ইন্ডিয়ার পেঁয়াজে দেশি বাজারের অর্ধেক চলে। তাও বন্ধ। এখন সঙ্কট থাকলে তো দাম বাড়বেই।’
নিউ আমিন অ্যান্ড সন্সের মোক্তার হোসেন বাবু বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে না। তাছাড়া বৃষ্টিতেও পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে। যে কারণে দাম বেড়েছে।’
সুভাষ ভান্ডারের সঞ্জয় সাহা বলেন, ‘সকাল থেকেই আমার আড়তে পেঁয়াজের রমরমা বিক্রি। অনেক ক্রেতা এসেছেন যারা পেঁয়াজের বাড়তি মূল্যর আতঙ্কে বেশি করে কিনছেন। আশেপাশের আরও অনেক আড়তেও একই অবস্থা।’
বড় বাজারের পেঁয়াজের আড়তদার মঈনুদ্দিন নূর বলেন, ছয় মাস যাবত ভারতের পেঁয়াজ আসছে না। বড়বাজারের দোকানি অশোক কুমার সাহা বলেন, ভারতের পেঁয়াজ না আসায় দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজেই চলছে। ফলে সঙ্কটের কারণে দাম বেড়েছে।