অবন্ধুসুলভ দেশগুলোকে জ্বালানি নিতে হলে অবশ্যই রুশ মুদ্রা রুবলে অর্থ পরিশোধ করতে হবে। তা না হলে তাদের গ্যাস সরবরাহ করা হবে না। পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়া ওই শর্ত মানতে অসম্মতি জানায়। এরপর পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়াকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করার বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়।
কিয়েভ (ইউক্রেন) : রাশিয়া পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় বুধবার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
দেশটির জ্বালানি সংস্থা গ্যাজপ্রম এ কথা জানিয়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধে সর্বশেষ অস্ত্র হিসেবে গ্যাস সরাবরাহ বন্ধের এ উদ্যোগ নিল রাশিয়া।
পোল্যান্ডের গ্যাস কোম্পানি পিজিএনআইজি বলেছে, তাদের বলে দেওয়া হয়েছে বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৮ টা থেকে আর গ্যাস দেওয়া হবে না। বুলগেরিয়ার জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, বুধবার থেকে তাদের দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
যদিও বুলগেরিয়া গ্যাসের জন্যে ব্যাপকভাবে রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল।
এদিকে রাশিয়ার পক্ষ থেকে সম্প্রতি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, অবন্ধুসুলভ দেশগুলোকে জ্বালানি নিতে হলে অবশ্যই রুশ মুদ্রা রুবলে অর্থ পরিশোধ করতে হবে। তা না হলে তাদের গ্যাস সরবরাহ করা হবে না। পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়া ওই শর্ত মানতে অসম্মতি জানায়। এরপর পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়াকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করার বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়।
পোল্যান্ডের গ্যাস কোম্পানি পিজিএনআইজি অধিকাংশ গ্যাস আমদানি করে থাকে গ্যাজপ্রম থেকে। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসেও প্রতিষ্ঠানটির মোট গ্যাসের ৫৩ শতাংশ সরবরাহ করেছে রুশ কোম্পানিগুলো। তারা বলছে, হঠাৎ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করাটা চুক্তির লঙ্ঘন। তাদের পক্ষ থেকে গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাদের ৭৬ শতাংশ গ্যাসের মজুদ রয়েছে। বাকিটার জন্যে তারা গ্যাসের বিকল্প উৎসের জন্য চেষ্টা করবে।
এদিকে বুলগেরিয়ার গ্যাসের ৯০ শতাংশই আসে গ্যাজপ্রম থেকে। তারা বলছে, তবে এ মুহুর্তে গ্যাস ব্যবহারের জন্য কোনো বিধিনিষেধ দেওয়া হচ্ছে না।
বুলগেরিয়ার জ্বালানি মন্ত্রণালয় বলেছে, গ্যাজপ্রমের সঙ্গে বর্তমান চুক্তির অধীনে বাধ্যবাধকতাগুলো পূর্ণ করা ও সব প্রয়োজনীয় অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে। তবে রাশিয়ার কাছ থেকে অর্থ পরিশোধে নতুন যে পদ্ধতির প্রস্তুাব করা হয়েছে তা বর্তমান চুক্তির লঙ্ঘন।
এদিকে প্রতিবেশী মলোদোভার বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে বিস্ফোরণের কারনে কিয়েভ অভিযোগ করছে মস্কো ইউক্রেন যুদ্ধটাকে ইউরোপ পর্যন্ত বিস্তৃত করতে চাচ্ছে।
ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের মিত্র মিখাইলো পোডোলিয়াক ট্ইুটারে বলেছেন, রাশিয়া ট্রান্সস্টিয়ান অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করতে চায়।
তিনি বলেন, আজ ইউক্রেনের পতন ঘটলে আগামীতে রুশ সৈন্যরা চিসিনাউয়ের গেটে পৌঁছে যাবে।