বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: করোনাকালীন পোশাক কারখানার মালিক কর্তৃক আইন ভঙ্গ করে কারখানা লে-অফ ঘোষণা করা ও শ্রমিক ছাঁটাই, শ্রমিকদের মজুরি ও ভাতা প্রদান না করা এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত না করা সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ পোশাক খাতে সুশাসনের ঘাটতি আরও ঘনীভূত হয়েছে।
‘তৈরি পোশাক খাতের করোনা ভাইরাস উদ্ভূত সংকট : সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক টিআইবির প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) এ তথ্য উঠে এসেছে।
টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পোশাক মালিকরা প্রণোদনা পাওয়ার পরও বিভিন্ন কারখানায় ২১ হাজার শ্রমিক ছাঁটাই হয়েছে। এর বাইরে সাব-কন্ট্রাক্ট কারখানাসহ অন্যান্য কারখানায় আরও অনেক শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়েছে।
টিআইবির প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া, শ্রমিক ছাঁটাই, কার্যাদেশ বাতিল ও পুর্ণবহাল, প্রণোদনার অর্থের ব্যবহার ও বণ্টন ইত্যাদি সব তথ্য সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে এবং এসব তথ্য নিয়মিত হালনাগাদ করতে হবে।
প্রতিবেদনে আরও সুপারিশ করা হয়েছে, শ্রমিক অধিকার ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে সরকার, মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির নিয়মিত ও কার্যকর পরিদর্শন নিশ্চিত করতে হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও জার্মানির সহায়তা তহবিল ব্যবহারের জন্য করোনা মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের সঠিক তালিকা অবিলম্বে প্রণয়ন করতে হবে।
করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকার ও মালিক সংগঠনগুলো কর্তৃক গঠিত বিভিন্ন কমিটিকে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী ও যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে হবে। এসব কমিটি শ্রমিকদের অধিকার ও কারখানায় তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে।