পাকিস্তানের ক্ষমতায় একেবারে নাটকীয় পরিবর্তন হতে পারে এবার। পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে অনাস্থার প্রস্তাবকে বাতিল করা নিয়ে ডেপুটি স্পিকার যে ঘোষণা করেছিলেন তা অসাংবিধানিক। জাতীয় সংসদকে ফের প্রতিষ্ঠা করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আর পাক সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশকে ঘিরে একেবারে হইচই পড়ে গিয়েছে পাকিস্তানের মাটিতে। সূত্রের খবর, আগামী শনিবার দুপুর ১১টায় আস্থা প্রমাণের ভোট হবে পাকিস্তানে। সুপ্রিম কোর্ট পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে ডেপুটি স্পিকার অনাস্থা ভোট আটকাতে যে ব্যবস্থা নিয়েছিলেন তা বেআইনী। ওয়াকিবহাল মহলের মতে সেক্ষেত্রে ফের যদি আস্থা ভোট হয় তবে ইমরান খান ঠিক কোন পথে হাঁটেন সেদিকেই তাকিয়ে গোটা দুনিয়া।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ড. আরিফ আলভির জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ‘অবৈধ’ ছিল। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার মন্ত্রিসভায় বহাল থাকবেন। রায়ে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের সমাপ্তি ছাড়া অধিবেশন মুলতবি করা যাবে না। দেশটির প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারপতিরা একে অপরের সঙ্গে পরামর্শ করার পর ৫-০ ভোটে সর্বসম্মতিক্রমে রায় ঘোষণা করা হয়।
এ রায়কে কেন্দ্র করে আদালত চত্বরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। আদালতের বাইরে মোতায়েন করা হয় দাঙ্গা পুলিশ।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা বিরোধী দলগুলোর অনাস্থা প্রস্তাব ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়ে ৩ এপ্রিল খারিজ করে দেন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। এরপর প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এ পুরো প্রক্রিয়াকে ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা।
অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্ট অনাস্থা প্রস্তাব খারিজের দিনই স্বতঃপ্রণোদিত (সুয়োমোটো) হয়ে নোটিশ দেন। সর্বোচ্চ আদালত তখন বলেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর তারা নজর রাখছেন।