Home অন্যান্য ফেসবুক পেজের এনগেজমেন্ট বাড়ানোর কৌশল

ফেসবুক পেজের এনগেজমেন্ট বাড়ানোর কৌশল

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

বর্তমান সময়ে ব্যক্তিগত যোগাযোগ রক্ষা ও ব্যবসার প্রচার-প্রসারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে। অনেকেই ব্যবসা করার জন্য অথবা শখের বশে নিজের নামে বা বেনামে পেজ খোলেন। এসব পেজে মানুষ যাতে বেশি ভিজিট করে তার কিছু কৌশল রয়েছে।

একসঙ্গে একাধিক কনটেন্ট প্রকাশ করবেন না: অনেকেই ফেসবুকে একদিনে অনেকগুলো কনটেন্ট প্রকাশ করেন। এতে মানুষজন বিরক্ত হন। তাই এনগেজমেন্ট ধরে রাখার জন্য কখনোই একসঙ্গে একাধিক কনটেন্ট প্রকাশ করবেন না। এক ঘণ্টা বা দুই ঘণ্টা বিরতি দিয়ে কনটেন্ট প্রকাশ করুন।

সময়ের দিকে নজর দিন: আপনার কনটেন্টটি কোন সময় প্রকাশ করা যায়- বিষয়টি বিবেচনা করুন। কেননা অনলাইনে যে কনটেন্টের চাহিদা সকালে রয়েছে, সেটি রাতে প্রকাশ করা ঠিক হবে না। আবার রাতে চাহিদা রয়েছে এমন কনটেন্ট সকালে বা দুপুরে প্রকাশ করলে এনগেজমেন্ট কমে যায়। তাই অনলাইনে কোন সময় বা কোন পরিস্থিতিতে কনটেন্ট প্রকাশ করা যাবে, সেটি নজরে আনা উচিত। খেয়াল রাখবেন, কনটেন্টটি পড়ে মানুষ কী মন্তব্য করছে। কোনো গঠনমূলক সমালোচনা এলে সেটি আমলে নিন এবং ভবিষ্যতে কনটেন্ট তৈরির সময় মাথায় রাখুন।

বস্তুনিষ্ঠ কনটেন্ট তৈরি করুন: কনটেন্টটি বস্তুনিষ্ঠ কি না সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। বস্তুনিষ্ঠ তথ্য না থাকলে মানুষজন তার প্রতি আগ্রহী হবে না। কনটেন্ট নির্মাতাকে সবসময় কনটেন্টের প্রাসঙ্গিকতা বুঝতে হবে। অর্থাৎ কনটেন্টটি মানুষজন কেন পড়বেন, সে বিষয়ে বিবেচনা করতে হবে।

ভিডিও তৈরি করুন: অনলাইনে টেক্সট বা ছবি ব্যবহার করলে তাতে যতটা এনগেজমেন্ট বাড়ে, তার চেয়ে ভিডিওতে এনগেজমেন্ট দ্বিগুণ হয়। ভিডিওতে বিভিন্ন ফুটেজ, অডিও ও টেক্সট ব্যবহার করে পেজের এনগেজমেন্ট বাড়ানো সম্ভব। ভিডিও যদি সংবাদ কিংবা তথ্য নির্ভর হয়, তাহলে সেখানে ছবি বা ফুটেজ ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে বই বা সিনেমার রিভিউয়ের ক্ষেত্রে নিজের ফুটেজ ব্যবহার করাই ভালো।

লাইভে যান: ফেসবুক পেজ এনগেজমেন্ট বাড়ানোর অন্যতম একটি কৌশল হলো লাইভে যাওয়া। যেকোনো প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে ফেসবুকে লাইভ করা যায়। তবে মানুষের আগ্রহ রয়েছে এমন বিষয় বেছে নেওয়া শ্রেয়। তবে মনে রাখবেন, প্রতিদিন লাইভে গেলে এনগেজমেন্ট বাড়ার বদলে কমে যায়। কেননা মানুষ একই ধরনের কনটেন্ট বার বার দেখতে পছন্দ করে না।

কনটেন্ট শেয়ার করুন: কনটেন্টটি প্রকাশ হলো। কিন্তু সেটি কোথাও শেয়ার হলো না। কীভাবে এনগেজমেন্ট বাড়বে? তাই পেজে কোনো কনটেন্ট প্রকাশ করার সঙ্গে সঙ্গেই সেটি অন্য কোনো ফেসবুক গ্রুপে শেয়ার করুন। সম্ভব হলে নিজের টাইমলাইনেও শেয়ার করুন। এতে আপনার বন্ধু-স্বজন এবং বাইরে থেকে অনেকেই কনটেন্ট এবং ফেসবুক পেজের সঙ্গে পরিচিত হবেন। বাড়বে এনগেজমেন্টও।

মানুষের মতামত জানুন: পেজের এনগেজমেন্ট বাড়ানোর আরেকটি কৌশল হলো কোনো প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে মানুষের মতামত জেনে নেওয়া। আপনার মতামত কী- এ ধরনের একটি কনটেন্ট প্রকাশ করলে অনেকেই নিজেদের মতামত জানান। এতে দিনশেষে পেজের অগ্রগতি হয়।

বুস্ট করুন: পেজকে নির্দিষ্ট গণ্ডির বাইরে তুলে ধরার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কনটেন্ট বুস্ট করুন। সহজেই মানুষ আকৃষ্ট হবে এমন কনটেন্ট বুস্ট করাই ভালো। এতে শহরাঞ্চল বা গ্রামাঞ্চলের বাইরেও অনেকে পেজটিতে লাইক দিতে পারবেন।

অন্য পেজগুলো দেখুন: অন্য পেজগুলোতে কী ধরনের কনটেন্ট দেওয়া হয় সেটি দেখে নেওয়া উচিত। এতে ভিন্ন রকমের কনটেন্টের আইডিয়া পাওয়া যাবে। কনটেন্টের বৈচিত্র্যের উপরেই নির্ভর করে পেজ এনগেজমেন্ট।

নতুন বিষয়ে কনটেন্ট তৈরি করুন: মানুষের আগ্রহ থাকতে পারে এমন কোনো বিষয়ে কনটেন্ট তৈরি করা যেতে পারে। এভাবে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার মানুষজনের পছন্দ, রুচি ও অভ্যাস সম্পর্কে জানা সম্ভব।

মন্তব্যের জবাব দিন: কনটেন্ট পড়ে অনেকে মন্তব্য করেন। সেসব মন্তব্যের জবাব দিতে অনেকেই অনীহা দেখান। কিন্তু এতে লাভ কিন্তু আপনারই। কারণ মন্তব্যের জবাব দেওয়ার মধ্য দিয়ে প্রকাশিত কনটেন্টটি আবার উপরের দিকে চলে আসে। এতে বহু সংখ্যক মানুষ সেটি দেখবেন এবং রিয়্যাক্ট করবেন।

হোস্ট গিভওয়ে ব্যবহার করুন: পেজের এনগেজমেন্ট বাড়ানোর জন্য হোস্ট গিভওয়ে ব্যবহার করা উচিত। তবে সবসময় নয়, মাঝেমধ্যে। কেননা সবসময় ব্যবহার করা হলে এনগেজমেন্ট বাড়ার বদলে কমে যেতে পারে।

ফেসবুক গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত রাখুন: পেজের এনগেজমেন্ট বাড়ানোর সর্বশেষ কৌশল হিসেবে একটি ফেসবুক গ্রুপ খুলুন এবং তার সঙ্গে পেজকে যুক্ত রাখুন। কেননা পেজটি গ্রুপের সদস্যদের নজরে এলে সেখানে অনেকেই লাইক করবেন। এ কৌশল অবলম্বন অনেকেই পেজের এনগেজমেন্ট বাড়ান।