Home কলকাতা মানবপাচার, কলকাতায় গ্রেপ্তার ৩৭ বাংলাদেশী

মানবপাচার, কলকাতায় গ্রেপ্তার ৩৭ বাংলাদেশী

আটক মফিজ

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে কলকাতায় নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে বিভিন্নদেশে পাচারকারী সংঘবদ্ধ চক্রের সন্ধান পেয়েছে কলকাতা পুলিশ। সেখানে দুদিনে ৩৭ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের ৩৬ জনকে পাচারের জন্য কলকাতায় জড় করা হয়েছিল।  

স্থানীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়, নেপাল, দুবাই, অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু করে ইউরোপের একাধিক দেশ – গ্রিস, নেদারল্যান্ডসে পাচার করার জন্য বাংলাদেশী মানুষজনকে কলকাতায় লুকিয়ে রাখা হত। তারপর সুযোগমতো সীমান্ত দিয়ে বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হতো।

মানব পাচার চক্রের মূল হোতা মফিজুররহমানকে দীর্ঘদিন ধরে খুঁজছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এই মফিজুর রহমানের খোঁজেই কলকাতা আসে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। যোগাযোগ করে কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি রাউডি সেকশনের সঙ্গে। আর তারপরই মিলল সাফল্য। মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ সে বেশ কিছু ব্যক্তিকে জাল পরিচয়পত্র বানিয়ে দিয়ে বিভিন্ন দেশে পাচার করেছে। তার সঙ্গে আর কে কে রয়েছে, জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

শনিবার রাতে আনন্দপুর থানার গুলশন কলোনি থেকে ১৭ জন এবং রবিবার ২০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ্। প্রথমে আটক ১৭ জনকে জেরার পর বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় পুলিশ। নেপথ্যে বড়সড় মানব পাচার চক্র সক্রিয় বলে অনুসন্ধানে জানা যায়।  পুলিশের অনুমান, অবৈধ পথে ভারতে ঢুকিয়ে বিশ্বের একাধিক দেশে পাচার করা হত বাংলাদেশি নাগরিকদের। কীভাবে নথিপত্র ছাড়া এত বাংলাদেশি ভারতে চোরাপথে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছে, তা খতিয়ে দেখতে নেমেছে আনন্দপুর থানার পুলিশ।

জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, মূল অভিযুক্ত মফিজুর রহমান। সে দেড় থেকে ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে দেশের বাইরে পাচার করার জন্য কলকাতায় নিয়ে যায়। এরপর তাদের অবৈধভাবে পাসপোর্ট, ভিসা, আধার কার্ডের মতো প্রয়োজনীয় পরিচয়পত্র বানিয়ে দিত মাহফিজুর।  এদের সকলের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭০, ৪১৯, ৪২০ ধারা-সহ মোট সাতটি ধারায় মামলা দায়েরের পাশাপাশি ফরেনার্স অ্যাক্টে রুজু হয়েছে মামলা। মফিজুরকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে উত্তর প্রদেশে ।