বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলেছে, আগামী অর্থবছরের বাজেটে কোনোভাবেই কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া ঠিক হবে না।কারণ তা সামগ্রিকভাবে আমাদের অর্থনীতিতে কোনো ধরেনর সুফল বয়ে আনে না।
একই সঙ্গে চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় করপোরেট ট্যাক্স না কমানোর পশামর্শ দিয়েছে সিপিডি।
আজ শনিবার ‘কোভিড-১৯-বর্তমান প্রেক্ষাপট ও বাজেট ২০২০-২১’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলা হয়। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সভাপতিত্বে ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন সিপিডির বিশেষ ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এবং সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান।
আসন্ন বাজেট প্রস্তাবনায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের মূসক নেটের বাইরে রাখার জন্য বার্ষিক টার্নওভার ৫০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক কোটি টাকা পর্যন্ত মূসক অব্যাহতি প্রদান করার প্রস্তাব করা হয়। সিপিডি বলছে, তা করা হলে ছোট ব্যবসীরা কিছু সুবিধা পাবেন, আর সরকারেরও তেমন কোনো ক্ষতি হবে না।
সিপিডি মনে করে, করোনায় দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা চাঙা রাখতে ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো উচিত। এটি এখন আড়াই লাখ টাকা আছে। এটি বাড়িয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা এবং পাশাপাশি করের হারও কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি।
করপোরেট ট্যাক্স কমানোর বিষয়ে সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিয়ে সিপিডি বলেছে, এ ট্যাক্স কমালে অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণে কোন ধরনের চাপ আসবে তা বিবেচনায় নিতে হবে। এখন যে পরিমাণ সরকারি ব্যয় প্রয়োজন রয়েছে এটি বিবেচনায় নিলে করপোরেট কর না কমানোই ভালো বলে মনে করছে বেসরকারি এ গবেষণা সংস্থাটি। পাশাপাশি বিভিন্ন কর প্রণোদনা দেয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পশামর্শ দিয়েছে সিপিডি।
আসন্ন বাজেটে রাজস্ব আহরণে করের হার না বাড়িয়ে কর ফাঁকি বন্ধে কঠোর হওয়ার পক্ষে সিপিডি। একই সঙ্গে অর্থপাচার বন্ধে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি।