নোবিপ্রবি থেকে রিয়াদুল ইসলাম:কঠোর লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঈদে বাড়ি যেতে পারছেনা নোয়াখালীতে আটকা থাকা নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। বাড়ি যেতে তারা নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সুবিধা দাবি করেছেন প্রশাসনের কাছে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সুবিধা চেয়ে প্রশাসনের নিকট আবেদন করা হয়েছে। নোয়াখালীতে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের বিভাগীয় শহরগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনে পৌঁছে দিতে লিখিত দরখাস্তের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ও প্রক্টর বরাবর আবেদন জানানো হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকলেও নিজ এলাকায় পর্যাপ্ত ইন্টারনেট সুবিধা না থাকায় অনলাইন ক্লাস- পরীক্ষার জন্য নোয়াখালীতে অবস্থান করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঈদে বাড়ি ফেরা নিয়ে শঙ্কিত তারা।
জানা যায়, এর মধ্যে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর, নরসিংদী, রাজশাহী, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খুলনা, সিলেট, বরিশাল সহ দেশের বিভিন্ন জেলার প্রায় ৬ শতাধিক শিক্ষার্থী নোয়াখালীতে অবস্থান করছে। লকডাউনের কারণে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বাড়ি যেতে পারছেনা তারা। ঈদকে সামনে রেখে বাড়ি যেতে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সুবিধা চায়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি ও কঠোর লকডাউন অবস্থা হওয়ার কারণে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে।
রংপুর বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা রংপুর বিভাগের ২০জনেরও বেশী শিক্ষার্থী বিভিন্ন কারণে নোয়াখালীতে আটকা পড়ে আছি। আমাদের জার্নি তো এমনিতেই অনেক দীর্ঘতম, তার উপর গাড়ি ভাড়ার একটা বিষয় মাথায় থেকে যায়। এবারের গাড়ি ভাড়া অনেক বেশী, রংপুর পর্যন্ত একটা মাইক্রো ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত চেয়েছে। যেখানে তার সিট ক্যাপাসিটি মাত্র ১০ জনের মতো হবে। যেটা আমাদের অনেকের জন্য বহন করা কষ্টসাধ্য। এরমধ্যে ক্লান্তি তো আছেই। এই শিক্ষার্থী আরো বলেন, প্রশাসন আমাদের কথা চিন্তা করে রংপুর পর্যন্ত একটা বাসের ব্যবস্থা করে দিলে আমরা উপকৃত হতাম।
মহসিন রেজা প্রান্ত নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, লকডাউনের এই অবস্থায় শিক্ষার্থীদের যাতায়াত কষ্ট নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নজর দেওয়া উচিৎ। আশা করি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপার নজর দিবে।
এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে প্রক্টর অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, সারাদেশে কঠোর লকডাউন সব বাস চলাচল বন্ধ। আমাদের শিক্ষকরাও ঢাকায় যেতে পারছে না আটকে আছে এই মুহূর্তে বাস দেওয়া যাবেনা। চলতি কঠোর লকডাউন টা উঠে গেলে বিষয় টা নিয়ে আমরা আলোচনায় বসব।
বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ দিদার-উল-আলম বলেন, আমরা যেহেতু সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই নাই, সেহেতু শিক্ষার্থীদের এখানে আসার প্রয়োজন ছিল না। তারপরও এ দাবী কতটুকু গ্রহনযোগ্য সেটি বিবেচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।