Home Second Lead বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট জালিয়াতি: ৫ জন গ্রেপ্তার

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট জালিয়াতি: ৫ জন গ্রেপ্তার

  • সিঅ্যান্ডেএফ এজেন্ট খান এন্টারপ্রাইজের মালিক গ্রেপ্তার

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম: মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি করা পণ্য খালাসের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নকল ওয়েবসাইট খুলে জালিয়াতির ঘটনায় সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের মালিকসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।

৩ দিনে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো:সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান খান এন্টারপ্রাইজের মালিক গোলাম মওলা খান ও তার ছোট ভাই গোলাম রসুল খান এবং ভুয়া ওয়েবসাইট ডেভেলপার আবুল খায়ের পারভেজ, মো. আতিকুর রহমান ও রাহাত হায়দার চৌধুরী রানা।

রবিবার চট্টেশ্বরী  সড়ক থেকে গোলাম মওলা খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার ভাই গোলাম রসুলকে সোমবার একই জায়গা থেকে এবং মোগলটুলি থেকে পারভেজকে,  মঙ্গলবার ১৭ নভেম্বর ভোরে আতিক ও রাহাতকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সিআইডির চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শাহনেওয়াজ জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার ৫ জনের সবাই আদালতে ১৬৪ ধারায় দায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

রাজধানীর চকবাজারের মেসার্স সিয়াম এন্টারপ্রাইজ চলতি বছরের শুরুতে ১৩ হাজার ৫২০ কেজি চীনাবাদাম ও অন্যান্য পণ্য আমদানির ঘোষণায় একটি চালান চট্টগ্রাম বন্দরে আনে। খালাসের জন্য মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান খান এন্টারপ্রাইজ ২৩ এপ্রিল কাস্টমসে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে। সন্দেহজনক পণ্যের উপস্থিতির তথ্য থাকায় কাস্টমসের এআইআর শাখা স্থগিত করে চালানটির খালাস প্রক্রিয়া।

কায়িক পরীক্ষায় ওই চালানে উচ্চশুল্কের ২১ হাজার ৬০ কেজি শিশুখাদ্য গুঁড়োদুধ পাওয়া যায়।

ঘোষণা বর্হিভূত পণ্য আনায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আমদানিকারককে শুল্ক বাবদ ৬৫ লাখ টাকা, জরিমানা বাবদ আরও ৬৬ লাখ টাকা এবং ১০ লাখ টাকা বিমোচন জরিমানার আদেশ চালানটি খালাসের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বা আমদানি রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের ক্লিয়ারেন্স পারমিট (সিপি) কাস্টমসে জমার নির্দেশ দেওয়া হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিপি না দেওয়ায় ভুয়া ওয়েবসাইট খুলে জাল সনদ দাখিল করে।

বিষয়টি কাস্টম কর্তৃপক্ষ জাল বলে সনাক্তের পর গত ২৯ অক্টোবর নগরীর বন্দর থানায় চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের সহকারী শুল্ক কর্মকর্তা সুজয় দেবনাথ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ঢাকার সিয়াম এন্টারপ্রাইজের মালিক এবং সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধি খান এন্টারপ্রাইজের মালিককে মামলায় আসামি করা হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২২ (২) ও ২৩ (২) এবং দণ্ডবিধির ৪২০, ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারায় করা হয়েছে মামলাটি।