Home সারাদেশ বোনের বাল্যবিয়েতে রাজি না হওয়ায় দুভাইকে ছুরিকাঘাত

বোনের বাল্যবিয়েতে রাজি না হওয়ায় দুভাইকে ছুরিকাঘাত

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

বুগড়া: ধুনট উপজেলার বিয়ের অনুষ্ঠানে বরের ছুরিকাঘাতে কনের দুই ভাই জোবাইয়ের হোসেন (২৪) ও নাহিদ হোসেন (২০) আহত হয়েছে।

বোনকে বাল্যবিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় তাদের ছুরিকাঘাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আহত দুই ভাইকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোপালনগর ইউনিয়নের কালিতলা গ্রামে এই ঘটে।

থানা পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলা কালিতলা গ্রামের সাইদুর রহমানের মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে প্রায় ২বছর আগে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে অপহরণ করে একই এলাকার শেহলিয়াবাড়ি গ্রামের রিয়াজ উদ্দীনের ছেলে আব্দুল মোতালিব।

এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা সাইদুর রহমান বাদি হয়ে আব্দুল মোতালিবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। এ অবস্থায় দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে নতুন করে বিয়ের দিন তারিখ ধার্য্য করা হয়।

সেই মোতাবেক সোমবার বিকেলে আব্দুল মোতালিবসহ ২৫ থেকে ৩০ জন বরযাত্রী কনের বাড়িতে আসেন। খাওয়া দাওয়া শেষে বিয়ে নিবন্ধনের (কাবিন) দেনমোহরের টাকা নির্ধারণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।

কনের ভাই জোবাইয়ের হোসেন এবং নাহিদ হোসেন বোনকে আব্দুল মোতালিবের সাথে বিয়ে দিতে অস্বীকার করেন। এতে আব্দুল মোতালিব ও তার লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে জোবাইয়ের হোসেন ও নাহিদ হোসেনকে ছুরিকাঘাাত করে।

এ বিষয়ে বর আব্দুল মোতালিব বলেন, প্রায় দুই বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক ধরে ওই স্কুল ছাত্রীকে বিয়ে করেছি। এ বিয়ে তারা মেনে না নিয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা করে।  সোমবার দুই পক্ষ সমঝোতার মাধ্যমে লোকজন নিয়ে বিয়ে বাড়িতে যাই।

এসময় তারা নতুন করে অতিরিক্ত দেনমোহর দাবি করে। তাদের দাবি না মানায় তাদের সাথে কথাকাটি করে চলে আসি। কাউকে ছুরিকাঘাত করা হয়নি। স্কুল ছাত্রীর বাবা সাইদুর রহমানের দাবি, আমার নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে অপহরণ করা হয়।

এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ফলে আদালত মামলার আসামী আব্দুল মোতালিবকে কারাগারে পাঠিয়ে মেয়েকে আমার জিম্মায় দিয়েছে। সেই থেকে মেয়ে আমার বাড়িতেই আছে। আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে আব্দুল মোতালিব তার লোকজন নিয়ে এসে আবারো জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

এসময় বাধা দিলে তারা আমার দুই ছেলেকে ছুরিকাঘাত করে চলে যায়। ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, বিয়ে অনুষ্ঠানে ছুরিকাঘাতের মৌখিক অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।