Home জাতীয় বিডার ওয়েব পোর্টালে যুক্ত হলো ১৪ সেবা

বিডার ওয়েব পোর্টালে যুক্ত হলো ১৪ সেবা

ঢাকা:

পরিবেশ অধিদপ্তরের ১২টি, যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের একটি এবং বিডার একটি সেবাসহ ১৪টি সেবা কার্যক্রম যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) পোর্টালে।

বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই সেবার উদ্বোধন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তি‌নি বলেন, নতুন যোগ হওয়া ১৪টি সেবার মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের ১২ টি সেবা ওএসএস পোর্টালে যুক্ত হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের সেবা গ্রহণ সহজতর হবে। পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭-এ শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা প্রকল্পের পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রক্রিয়াকরণের সুনির্দিষ্ট সময়সীমার উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া, বিডা কর্তৃক প্রস্তাবিত ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার এবং ইজ অব ডুয়িং বিজনেস-এর আওতায় শিল্প প্রতিষ্ঠান বা প্রকল্পের অনুকূলে ছাড়পত্র প্রদানের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সময়সীমা পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় কর্তৃক সুসংহতকরণ বা কমিয়ে আনা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের অত্যন্ত সীমিত জনবল নিয়ে বিনিয়োগকারীদের ওয়ান স্টপ সার্ভিস প্রদানের জন্য ছাড়পত্র প্রদান বিষয়ক সেবা সহজীকরণ ও গণমুখি করতে সময়াবদ্ধ প্রক্রিয়ায় ছাড়পত্র প্রদানের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

তি‌নি আরও বলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রক্রিয়া সহজীকরণের জন্য বিভিন্ন শিল্পকারখানা এবং প্রকল্পের শ্রেণি পরিবর্তনপূর্বক পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭ সংশোধনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে ২০১৭ সালের জারিকৃত এসআরও এর মাধ্যমে এলপিজি বোটলিং প্ল্যান্ট, জৈবসার, বরফকল, সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র (উৎপাদন ক্ষমতা ৫০ কিলোওয়াট হতে ১ মেগাওয়াট পর্যন্ত), সিএনজি/অটোগ্যাস ফিলিং স্টেশন-কে সবুজ শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নিম্নঝুঁকির ওয়্যারহাউজকে শ্ৰেণিবহির্ভূত বিবেচনা করে ওয়্যারহাউজ নির্মাণের ক্ষেত্রে পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ প্রযোজ্য নয় মর্মে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র জারি করেছে। ওই পরিপত্র অনুযায়ী, বহুতল ভবন নয় এমন নিম্ন ঝুঁকির বাণিজ্যিক ও শিল্প ওয়্যারহাউজ নির্মাণের ক্ষেত্রে পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণের বাধ্যবাধকতা থেকে ইতোমধ্যে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত ১৪টি সরকারি এবং ১৩ টি বেসরকারী অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রকল্পের অনুকূলে পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়েছে এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রকল্পের কোন আবেদন পরিবেশ অধিদপ্তরে পেন্ডিং নেই। বিড়ার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ করা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরে বর্তমানে সকল শ্রেণির শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও প্রকল্পের ছাড়পত্রের আবেদন অনলাইনে গ্রহণ করা হচ্ছে এবং পরীক্ষামূলকভাবে সবুজ ও ‘কমলা-ক’ শ্রেণিভুক্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশগত ছাড়পত্র অনলাইনে নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। এছাড়া, পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা গবেষণাগারে সকল ধরনের নমুনা পরীক্ষার আবেদন গ্রহণ এবং ফলাফল অনলাইনে দেয়া হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের অন্যান্য সকল গবেষণাগারে অনলাইন সুবিধা চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিডা নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড এ কে এম রফিক আহমদ, ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশনের বাংলাদেশ কান্ট্রি ম্যানেজার ওয়েন্ডি ওয়ার্নার, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি শামস মাহমুদ এবং চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুব আলম প্রমুখ।

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক