বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: বিমা কোম্পানিগুলোর পরিশোধিত মূলধনের ৬০ শতাংশ শেয়ার ধারণ আইন পরিপালনের নির্দেশনা ধামাচাপা পড়ে আছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে নির্বিকার রয়েছে।
বিমা আইন, ২০১০ এর ২১ (৩) ধারা অনুসারে, লাইফ ইন্সুরেন্সের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৩০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে। আর এর ৬০ শতাংশ উদ্যোক্তাগণ কর্তৃক প্রদত্ত হবে। অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ উম্মুক্ত থাকবে জনসাধারণের জন্য ।
সাধারণ বিমার ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৪০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে। এর ৬০ শতাংশ উদ্যোক্তাগণ কর্তৃক প্রদত্ত হবে। অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ থাকবে জনসাধারণের জন্য উম্মুক্ত।
নতুন তালিকাভুক্ত ক্রিস্টাল , দেশ জেনারেল এবং এক্সপ্রেস ইন্সুরেন্স আলোচ্য বিমা আইন পুরোপুরি প্রতিপালন করে বাজারে এসেছে। এগুলোর উদ্যোক্তা শেয়ার রয়েছে ৬০ শতাংশ বা তার বেশি। কিন্তু ইতিপূর্ব তালিকাভুক্ত কোম্পানির অনেকগুলোই সেই বিধি-বিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পরিচালিত হচ্ছে।
গত ১৭ জানুয়ারি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ ( আইডিআরএ ) এক নির্দেশনায় বিমা আইন, ২০১০ এর ২১ (৩) ধারা পরিপালনপূর্বক এক মাসের মধ্যে তফসিল-১ অনুযায়ী ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইডিআরএ’কে অবহিত করতে বলা হয়েছিল। এরপরও বিমা কোম্পানিগুলো এ ব্যাপারে কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। অপরদিকে, আইডিআরএ পরবর্তীতে আর কোন পদক্ষেপ নেয়নি। আইডিআরএ’র পক্ষ থেকে বড় কোনো চাপ নেই
শেয়ারবাজারে নথিবদ্ধ সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি টাকার নিচে রয়েছে ৪টির। সেগুলো হলো-অগ্রণী ইন্সুরেন্স, ইসলামিক ইন্সুরেন্স, প্যারামাউন্ট ইন্সুরেন্স, প্রভাতী ইন্সুরেন্স। প্রভাতী ইন্সুরেন্সের পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ২৯ কোটি ৭০ লাখ ২৬ হাজার টাকা, অগ্রণী ইন্সুরেন্সের ৩০ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকা, প্যারামাউন্ট ইন্সুরেন্সের ৩৩ কোটি ৮৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং ইসলামিক ইন্সুরেন্সের ৩৭ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
জীবনবিমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকার নিচে রয়েছে ২টির। কোম্পানি ২টির মধ্যে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্সের রয়েছে ১৬ কোটি ৬৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা এবং রূপালী লাইফ ইন্সুরেন্সের ২৯ কোটি ৪২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা।
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর প্রতি মাসের লেনদেনকৃত শেয়ারের হালনাগাদ তথ্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে অবহিত করতে হয়, যা পরে স্টক এক্সচেঞ্জগুলো তাদের ওয়েবসাইটে আপটেড করে। আর এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে একজন বিনিয়োগকারী বিনিয়োগের করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।