Home First Lead বিশ্বের সবচে’ ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড ফিলিপাইন

বিশ্বের সবচে’ ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড ফিলিপাইন

  • সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ৩১০ কিলোমিটার
  •  গোটা ফিলিপিন্স জুড়ে ঝড়ের ধ্বংসলীলা

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

রবিবার ( ১ নভেম্বর ) ভোর রাতে ফিলিপিন্সে আছড়ে পড়েছে সুপার টাইফুন গনি।

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এই ঝড়ের ধ্বংসলীলা দেখা যাচ্ছে গোটা ফিলিপিন্স জুড়ে। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের পূর্ব দিক।

রবিবার ভোর রাতে ফিলিপিন্সের ক্যাটানডুয়ানেস প্রদেশে ল্যান্ডফল করে এই টাইফুন। এরপরে অ্যালবে, লুজন ও মেট্রো ম্যানিলা অতিক্রম করে রবিবার রাত কিংবা সোমবার ভোর নাগাদ এই ঝড় ফিলিপিন্স অতিক্রম করে চলে যাবে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। তবে তার আগে দেশে যে ক্ষয়ক্ষতি হবে তা ভেবেই আতঙ্কিত প্রশাসন।

দেশের আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে এত জোরে ল্যান্ডফল করেনি কোনও ঝড়। এখনও ঝড়ের চোখ ও অভ্যন্তর ভাগ অতিক্রম করেনি। আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে তা অতিক্রম করে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তারপরে ঝড়ের লেজের অভিঘাত সহ্য করতে হবে।

সুপার টাইফুন গনির গড় গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার বলে জানা গিয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালে সুপার টাইফুন মেরান্টি ও ২০১৩ সালে সুপার টাইফুন হাইয়ানের সময় ঝড়ের গতিবেগ সবথেকে বেশি ছিল। কিন্তু সেসবকে ছাপিয়ে গিয়েছে গনি।

ইউএস জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার জানিয়েছে, এই টাইফুনের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৩১০ কিলোমিটার রেকর্ড হয়েছে। যে মুহূর্তে তা ল্যান্ডফল করেছে সেই সময় তার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৮০ কিলোমিটার।

এই টাইফুনের প্রভাবে ২৪ ঘণ্টা আগে থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ম্যানিলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলায় সবথেকে বেশি বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস। উপকূল এলাকায় আগে থেকেই ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। অ্যালবে প্রদেশ ও লুজন আইল্যান্ড থেকে প্রায় ১০ লাখ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

কিছুদিন আগেই টাইফুন মোলাভে আঘাত করেছিল ফিলিপিন্সে। তার ফলে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফিলিপিন্সে ধ্বংসলীলা চালিয়ে তারপরে তা ভিয়েতনামের দিকে এগিয়ে গিয়েছে। প্রতি বছর ফিলিপিন্সে প্রায় ২০টি ঝড় আসে। তাই প্রতিবারই আগে থেকেই উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে মানুষের মৃত্যুর পরিসংখ্যানে এখনও পর্যন্ত সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছে টাইফুন হাইয়ান। এই ঝড়ের প্রভাবে ৬৩০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

সুপার টাইফুন গনির প্রভাবে কতজনের প্রাণহানি হয়েছে তার বিষয়ে এখনও কোনও খবর পাওয়া যায়নি।  ইতিমধ্যেই অনেক জায়গায় বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে। হেক্টরের পর হেক্টর ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়েছে। টাইফুন অতিক্রম করে চলে যাওয়ার পরেই ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।