Home Second Lead বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি’র নির্বাচন আজ

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি’র নির্বাচন আজ

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন ‘বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি’র নির্বাচন আজ রবিবার।

দীর্ঘদিন পাঁচ বছর পর এই নির্বাচন হচ্ছে।  ১২৩ টি পদের জন্য  ছয়টি প্যানেল অংশ নিচ্ছে। ফলে ১৫ হাজার ক্যাডার সদস্যদের এই নির্বাচনের প্রচারণাও জমে উঠেছে। বিভিন্ন প্যানেল থেকে নির্বাচনী ইশতেহারও ঘোষণা করা হয়েছে।

নির্বাচনে আজমতগীর-জাফর প্যানেল, শাহেদ-রেহানা প্যানেল, তৌফিক-মাসুদ রানা প্যানেল, সরফরাজ-বাশার প্যানেল, নোমানি-শওকত প্যানেল, লাল-সবুজ প্যানেল ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও রয়েছেন।

ভোটের মাঠে প্রচারে বেশ এগিয়ে আছেন আজমতগীর-জাফর প্যানেল। এমনকি একাধিক জরিপেও এই প্যানেলের এগিয়ে থাকার খবর পাওয়া গেছে। এই প্যানেলে সভাপতি পদে রয়েছেন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর অলিউল্লাহ মো. আজমতগীর ও মহাসচিব হিসেবে রয়েছেন সৈয়দ জাফর আলী।

সংশ্লিষ্টরা জানান, অলিউল্লাহ মো. আজমতগীর বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সাবেক মহাসচিব, সহসভাপতিসহ একাধিক দায়িত্ব পালন করেছেন। শিক্ষা ক্যাডারে একজন সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে তিনি অত্যন্ত পরিচিত মুখ। আর মহাসচিব প্রার্থী মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ জাফর আলী স্বাধীনতা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সংসদেরও সদস্য সচিব। তিনিও ক্যাডারে অত্যন্ত জনপ্রিয় মুখ। যুগ্ম মহাসচিব প্রার্থী হয়েছেন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের যুগ্ম পরিচালক বিপুল চন্দ্র সরকার। যিনি দল-মত নির্বিশেষে শিক্ষা ক্যাডার সদস্যদের যে কারো প্রয়োজনে এগিয়ে যান বলে সুখ্যাতি আছে। এছাড়া বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ এবং সিনিয়র-জুনিয়ররাই আজমতগীর-জাফর প্যানেলের প্রার্থী। যাদের সমর্থন দিয়েছেন শিক্ষা ক্যাডারের সর্বজন শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক মাসুমে রাব্বানী খান এবং অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার।

অপরদিকে শাহেদ-রেহানা প্যানেলে সভাপতি প্রার্থী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) প্রফেসর মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী। যিনি সমিতির সাবেক মহাসচিব। গত কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণের সাড়ে তিন বছর পরও নির্বাচন না হওয়ার পেছনে তাকেই দায়ি করেন শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যরা। তারা মনে করছেন, দীর্ঘদিন সমিতিতে নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকায় দাবি-দাওয়া আদায়ে পিছিয়ে পড়েছেন শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যরা।

ইডেন মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক  রেহেনা পারভীন এই প্যানেলের মহাসচিব প্রার্থী।

শিক্ষা ক্যাডারের তরুণ সদস্যদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে লাল-সবুজ প্যানেল। তারা অল্প সংখ্যক পদে প্রার্থী দিয়েছেন। সভাপতি ও মহাসচিব পদে তাদের কোনো প্রার্থী নেই।

আমতগীর-জাফর প্যানেলের মহাসচিব প্রার্থী সৈয়দ জাফর আলী বলেন, ভোটাররা সবাই সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার অধিকারি, তারা যোগ্য ব্যক্তিকেই বেছে নিবেন।

লাল-সবুজ প্যানেলের কোষাধ্যক্ষ প্রার্থী চন্দ্র শেখর হালদার বলেন, আমরা পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়েই আমাদের প্যানেল । যেহেতু আমাদের প্রার্থী বেশিরভাগই নবীন তাই সভাপতি-মহাসচিবের মতো পদে আমরা প্রার্থী দেইনি। যেসব পদে আমরা প্রার্থী দিয়েছি সেখানে জয়ের ব্যাপারে আমরা শতভাগ আশাবাদী।