Home সারাদেশ বেনাপোল-পেট্রাপোলে বাণিজ্য বন্ধের দ্বিতীয় দিন

বেনাপোল-পেট্রাপোলে বাণিজ্য বন্ধের দ্বিতীয় দিন

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হয়রানি বন্ধসহ ৫ দফা দাবিতে শ্রমিকদের সংগঠন ‘জীবন-জীবিকা বাঁচাও’ কমিটি ডাকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে।

সোমবার (০১জানুয়ারি) দ্বিতীয় দিনের মত আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে বেনাপোল-পেট্রাপোলে।

তবে দু’দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে। বন্দরে মালামাল ওঠানামাসহ পণ্য ডেলিভারি রয়েছে স্বাভাবিক।

আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকায় দু’দেশের বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় আটকা পড়েছে শত শত পণ্য বোঝাই ট্রাক। ফলে ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের লোকসানের কবলে পড়েছেন। আটকেপড়া পণ্যের মধ্যে রয়েছে রপ্তানিমুখি পাট ও পাটজাত দ্রব্য, মাছ, শিল্প কলকারখানার কাঁচামাল, তৈরি পোশাক, মেশিনারিজসহ বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি ও ২৫০ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হয় ভারতে।

ভারতীয় পেট্রাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র জানান, বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালু করতে বিএসএফসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক চলেছে।

ধর্মঘটকারীদের অভিযোগ, ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্য ও ট্রাক শ্রমিকরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে বেনাপোল বন্দরে আসা-যাওয়া করছেন দীর্ঘদিন ধরে কিন্তু সীমান্তরক্ষী বিএসএফ সম্প্রতি নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে তাদের যাতায়াত বন্ধ করে দেয়।

বিএসএফের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া ট্রাক তল্লাশিতে দীর্ঘ সময় ক্ষেপণ করা হচ্ছে। এসব সমস্যা সমাধানে আন্তরিক হতে বিএসএফকে বারবার জানানো সত্ত্বেও সমাধান না হওয়ায় বাধ্য হয়ে লাগাতার ধর্মঘটের ডাক দেয় বন্দর জীবন-জীবিকা বাঁচাও সংগঠনটি।

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, ভারতীয় শ্রমিকরা দুদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দিলেও বেনাপোল বন্দরে মালামাল ডেলিভারি চলছে স্বাভাবিক নিয়মে। প্রতিদিন সরকারকে ২০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার আজিজুর রহমান জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে বছরে ৩০ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য সম্পন্ন হয়ে থাকে। প্রতিদিন ১৭০০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হয়ে থাকে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার জানান, চলমান সমস্যা ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে এতে দুই দেশের ব্যবসায়ীই ক্ষতির মুখে। চলমান সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে যাতে দ্রুত বাণিজ্য সচল হয় তার জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।