Home বিশেষ প্রতিবেদন ডলার সংকটে আমদানি কমে গেছে বেনাপোল দিয়ে

ডলার সংকটে আমদানি কমে গেছে বেনাপোল দিয়ে

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

বেনাপোল ( যশোর ): ডলার সংকটে ঋণপত্র করতে না পারায় বেনাপোল দিয়ে আমদানি কমে গেছে। বিশেষত মোটরপার্টস, ফেব্রিকস, আয়রন, স্টিল, আপেল আমদানি হ্রাস পেয়েছে। ফলে রাজস্ব আদায়ও কমে গেছে।

চলতি অর্থ বছরে বেনাপোলে রাজস্ব আদায়ের মোট লক্ষ্যমাত্রা ৬ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা। জুলাই-অক্টোবর ৪ মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে ঘাটতি ২৪০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে  ঘাটতি ৩১৩ কোটি টাকা বলে কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে।

বেনাপোল সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশসেন সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানালেন, ‘বর্তমানে দেশে ডলার সঙ্কট চলছে। ডলার সঙ্কট দেখিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এলসি দিতে চাচ্ছে না। আর এলসি দিলেও ডলারের রেট অনেক বেশি। ডলার বাইরে থেকে কেনার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে তারা। এলসি না হওয়ার কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি অনেক কমে গছে।’

আমদানিকারক আমিনুল ইসলাম আনু আমদানি হ্রাস প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে টাকার বিপরীতে ডলারের মূল্য ১১০ দশমিক ৪২ টাকা। এলসির সমুদয় টাকা ব্যাংকে পরিশোধ করলেও ব্যাংক এলসি দিচ্ছে না। এলসি করতে গেলে পিআই অনুমোদনের জন্য ব্যাংকের ম্যানেজারকে ঘুষ দিতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহে এলসি করতে ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য ছিল ১১২ টাকা। চলতি সপ্তাহে তা বেড়ে ১৩০ টাকা হয়েছে। এসব অনিয়ম না মানলে এলসি হচ্ছেনা। এজন্য বেশি প্রয়োজন ছাড়া এলসি করছিনা। বাণিজ্যিক আইটেমের এলসি না হওয়ার কারণে আমদানি বাণিজ্য কম হচ্ছে ও রাজস্ব ঘাটতি হচ্ছে’।

তিনি বলেন, ‘আমরা যারা আমদানি করি, তারা এ বন্দর এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছি। সময় বাঁচাতে এ বন্দর দিয়ে আমদানি করলে আর্থিক লোকসান গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। ব্যবসায়ীদের বৈধ সুবিধা নিশ্চিত হলে আশা করছি বাণিজ্যে আবারও গতি ফিরবে বেনাপোল বন্দরে।’

কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার শাফায়েত হোসেন বলেন, ‘ ডলার সঙ্কটে এলসি না হওয়ার কারণে আমদানি কম হচ্ছে। আগের তুলনায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি বাণিজ্য অনেক কমে গেছে। বিশেষ করে মোটরগাড়ি ও মোটরপার্টস থেকে ২০১ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় কম হয়েছে। আপেল আমদানিতে ২৪ কোটি ও ফেব্রিকস আমদানিতে ২১ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় কম হয়েছে। সর্বমোট ৩১৩ কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি রয়েছে।’