বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: চালের বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে শুল্কের হার কমিয়ে বেসরকারিভাবে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এখন ২৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে চাল আমদানি করতে পারবে ব্যবসায়ীরা।
তিনি বলেন, বৈধ লাইসেন্সধারীদের আবেদনের সুযোগ দেয়া হবে। মন্ত্রণালয় থেকে যাকে যতটুকু ছাড়পত্র দেয়া হবে, সে অনুযায়ী এলসি হবে। সেটা আমরা মনিটরিং করব। সরকারিভাবে ৪ লাখ মেট্রিক টন এবং দেড় লাখ মেট্রিক টন জিটুজি পদ্ধতিতে এবং বেসরকারিভাবে চাল আমদানি করা হবে।
রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, আগে ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক ছিল। এখন ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। নতুন শুল্ক হারে চাল আমদানি করতে আগ্রহীদের আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে।
মিলারদের দাম না বাড়ালে চাল না দেয়ার প্রসেঙ্গ মন্ত্রী বলেন, সরকার কারও হুমকিতে মাথা নত করে না। আমরা মিলারদের চুক্তির জন্য পীড়াপীড়ি করিনি। তারা তাদের হুমকি নিয়ে থাকুক। প্রয়োজনে আমরা কৃষকের কাছ থেকে ধান বেশি করে কিনব। যাতে করে তারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
১৫ থেকে ২০ লাখ টন চাল কিনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু করেছি। কিন্তু সরকার নির্ধারিত মূল্য মণপ্রতি ১ হাজার ৪০ টাকা। বাইরে কৃষকরা ধান বিক্রি করে লাভবান হলে সরকারের কাছে বিক্রি করে না। আজকেও বাইরে ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে ধান বিক্রি হচ্ছে। আমাদের চালের রেট বাণিজ্য, কৃষি, অর্থ, খাদ্য মন্ত্রণালয় মিলে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সহনীয় রেট কি করা যায়, সেটার কোনো নীতিমালা নেই। ধানের দাম কমলে আমরা কৃষকের জন্য হাহাকার করি। আবার চালের দাম বাড়লেও হাহাকার করি।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বেসরকারিভাবে যখন যতটুকু আমাদানি করা প্রয়োজন করব। বোরো মৌসুম আসার আগে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার সেটাও করব। বোরো মৌসুমে এ অবস্থা থাকলে আবার আমদানি করব।
তিনি বলেন, এজন্য সহনশীল স্ট্যান্ডার্ড রেট তৈরি করতে হবে। ২৩ ডিসেম্বর বৈঠক হয়েছে। সেখানে বাণিজ্য, কৃষি, অর্থ ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মর্মকর্তারা ছিলেন। আমরা কমিটিও করেছি। তারা নীতিমালা তৈরি করতে কাজ করবে। আর সেটা চূড়ান্ত হলে এটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
