বেসরকারি চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে হাসপাতালের মানগত দিক বিবেচনা করে সরকার নির্দিষ্ট হারে শিগগিরই ফি নির্ধারণ করে দেবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চিকিৎসা সেবায় দেশের বেসরকারি চিকিৎসা সেবার খাতের সংযুক্তি শীর্ষক বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী একথা জানান।
তিনি বলেন, ‘চিকিৎসা সেবা নিতে দেশের মানুষের পকেট থেকে খরচ বেশি হচ্ছে। অথচ দেশের সরকারি স্বাস্থ্যসেবা বিনামূল্যেই দেওয়া হয়। চিকিৎসা সেবা নিতে মানুষের এত বেশি টাকা ব্যয়ের মূল কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়া, দেশের বেসরকারি চিকিৎসা সেবা কিংবা ওষুধ কেনার মাধ্যমে। ’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের বেসরকারি চিকিৎসা সেবা চিকিৎসাক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে সত্যিই, তবে একেক হাসপাতালের একেক রকম চার্জ সাধারণ মানুষের ভোগান্তির আরেকটি কারণ হয়েছে। এ কারণে সরকার দেশের বেসরকারি চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে হাসপাতালের মানগত দিক বিবেচনা করে একটি নির্দিষ্ট হারে ফি নির্ধারণ করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ’
দেশের আনাচে-কানাচে প্রাইভেট ক্লিনিক স্থাপিত হচ্ছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সারা দেশে প্রাইভেট ক্লিনিকে ছেয়ে গেছে। এর মধ্যে কিছু ক্লিনিক মানসম্পন্ন সেবা দিলেও বহু ক্লিনিকে মানসম্পন্ন চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। এসব ক্লিনিকে ভালো মানের চিকিৎসা সরঞ্জামাদিও নেই। দেশজুড়ে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা এ সব মানহীন প্রাইভেট ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হবে। খুব দ্রুতই এ জন্য একটি নির্দিষ্ট মানদণ্ড নির্ধারণ করা হবে। এ মানদণ্ড বজায় না রাখলে ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হবে। ’
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খানসহ দেশের বিভিন্ন প্রাইভেট মেডিক্যাল হাসপাতালের প্রতিনিধিরা।