জাপানের কোবে শহরের মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজের তৈরি বিলাসবহুল প্রমোদতরী ‘বে ওয়ান ক্রুজ’ বঙ্গোপসাগরে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি)।
ওইদিন রাত ১১ টায় চট্টগ্রাম থেকে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওনা হবে। পরদিন সকাল ৭ টায় সেন্টমার্টিনে পৌঁছাবে বে ওয়ান ক্রুজ নামের এই প্রমোদতরী।
‘বে ওয়ান ক্রুজ’ পতেঙ্গা ওয়াটার বাস টার্মিনাল থেকে সপ্তাহে তিনদিন সেন্টমার্টিন রুটে চলাচল করবে।
এ বিষয়ে সোমবার (১১ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম.এ রশিদ।
এসময় এমএ রশিদ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশের পর্যটনশিল্পের উন্নয়নে জাপান থেকে বিলাসবহুল জাহাজ বে ওয়ান ক্রুজ শিপ দেশে আনা হয়েছে। এই জাহাজ দেশের পযর্টন শিল্পের উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে। ১৭ জন ক্রু ছাড়াও যাত্রীসেবায় নিয়োজিত থাকবেন আরও অতিরিক্ত ১৫০ ক্রু। ৪৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৫৫ ফুট প্রস্থের এই জাহাজের উত্তাল সমুদ্র মোকাবিলার সক্ষমতা রয়েছে। যাত্রীর ধারণক্ষমতা ২ হাজার। এটি ঘণ্টায় ২৪ নটিক্যাল মাইল বেগে চলবে। এতে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট স্যুট, বাঙ্কার বেড় কেবিন, টু ইন বেড কেবিন, আরামদায়ক চেয়ারসহ বিভিন্ন ক্যাগাটরির আসন।
এছাড়াও একটি অভিজাত রেস্তোরা, স্বয়ংক্রিয় ভেন্ডিং মেশিন এবং কয়েন পরিচালিত ঝর্ণা রয়েছে।
কর্ণফুলি শিপ বিল্ডার্স কর্তৃপক্ষ জাহাজটিকে বাংলাদেশের আঙ্গিকে অভ্যন্তরীণ ডেকোরেশনে কিছু পরিবর্তন এনেছেন। ফলে যাত্রীদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে আরামদায়ক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুতগতির জাহাজ বে ওয়ান চালুর মাধ্যমে পর্যটকরা কম সময় এবং নিরাপদে সেন্টমার্টিন ভ্রমণের সুবিধা পাবেন। পাশাপাশি জাহাজে রাতযাপনের মাধ্যমে সমুদ্র বিনোদনও উপ ভোগের সুযোগ পাবেন। করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে যাত্রীদের পারাপার করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এতে পর্যটনশিল্পে নতুনমাত্রা যুক্ত হলো।
গেল ৯ সেপ্টেম্বর পূর্ব চীন সাগর অতিক্রম করে গত ১৫ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। আন্দামান সাগর ও বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেছে এই প্রমোদতরী।
-সংবাদ বিজ্ঞপ্তি