বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
ভারতের প্রথম স্যানিটারি ন্যাপকিনমুক্ত গ্রাম কেরলের এর্নাকুলাম জেলার কুম্বালাঙ্গি। সে গ্রামের মেয়েরা কেউ পিরিয়ডের সময় আর স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করবেন না। তার বদলে তাঁরা সকলেই ব্যবহার করবেন মেনস্ট্রুয়াল কাপ।
সম্প্রতি এ গ্রামকে স্যানিটারি ন্যাপকিনমুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের মধ্যে এই প্রথম। সরকারি উদ্যোগেই সেখানে বিতরণ করা হয়েছে মেনস্ট্রুয়াল কাপ। প্রায় ৫ হাজারের বেশি কাপ বিলি করা হয়েছে সে গ্রামের সব বয়সের মেয়েদের মধ্যে। তারপর সরকারি উদ্যোগেই ভলান্টিয়ার দিয়ে চলেছে ট্রেনিং।
কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান বলেন, দেশের সমস্ত গ্রামের কাছেই কুম্বালাঙ্গি রোল মডেল হয়ে উঠবে। নারী ক্ষমতায়নের কেন্দ্রে থাকবে এই ধরনের প্রকল্প, সরকারের এমন উদ্যোগ। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশ তখনই এগোবে যদি আমাদের গ্রাম এগিয়ে চলে।
জানা গেছে কুম্বালাঙ্গিকে স্যানিটারি ন্যাপকিনমুক্ত করা প্রক্রিয়া চলছিল অনেক আগে থেকেই। সরকারি প্রতিনিধিরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেখানকার মেয়েদের ট্রেনিং দিয়েছেন কীভাবে মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করতে হয়, কীভাবে তাতে অনেকখানি সুবিধা পাওয়া যায় পিরিয়ডের সময়। মাসের পর মা ধরে এই ধরনের ট্রেনিং চলেছে। সমগ্র প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘আভালকাই’ বা ‘মেয়েটির জন্য’।
প্যাড বা স্যানিটারি ন্যাপকিনের বদলে মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করলে পরিবেশ দূষণও অনেকটা কমবে বলে আশাবাদী এর্নাকুমালের সাংসদ হিবি ইডেন। তিনি বলেছেন, সিন্থেটিক ন্যাপকিনে পরিবেশের যে ক্ষতি হয়, তা মেনস্ট্রুয়াল কাপে হবে না। আর এই কাপ ব্যবহার করলে মেয়েদের ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতাও বজায় থাকবে আরও ভালভাবে। বিশেষত যে সমস্ত মহিলা খেটে খান, বা যে মেয়েরা পড়াশোনা করে তাঁদের জন্য এটি খুবই সুবিধার।
ঋতুমতী মেয়েদের সুবিধার জন্য এর্নাকুলামের স্কুলে স্কুলে ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন বসানো হয়েছে আগেই। কিন্তু তাতেও হামেশাই কিছু না কিছু সমস্যা হত। তারপর এই মেনস্ট্রুয়াল কাপের বিষয়টি মাথায় আসে প্রশাসনের। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে গ্রামে শুরু করে দেওয়া হয় প্রকল্পের কাজ। এই কাপ বারবার ব্যবহার করা যায়, এর অনেক সুবিধা রয়েছে। একটা মেনস্ট্রুয়াল কাপ কিনে নিলে খরচও অনেক অনেক কমে যায়।