Home আন্তর্জাতিক ভারতে সদ্যোজাত থেকে ১৯ বছর বয়সীদের মধ্যেও সংক্রমণ

ভারতে সদ্যোজাত থেকে ১৯ বছর বয়সীদের মধ্যেও সংক্রমণ

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

ভারতে কোভিড ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ নেওয়ার পরেও অনেকে ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্ত হচ্ছেন। শুক্রবার একথা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। একইসঙ্গে আরও দু’টি সতর্কবার্তা দিয়েছে ওই সংস্থা। প্রথমত, এদেশে সদ্যোজাত থেকে ১৯ বছর বয়সীদের মধ্যে কোভিডের সংক্রমণ বাড়ছে। দ্বিতীয়ত, ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ নেওয়ার পরেও ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।

কোভিড ১৯ এপিডেমোলজিক্যাল আপডেট-এ হু জানিয়েছে, ভারতে ৯৫০০ কোভিড রোগীর জিনোম সিকোয়েনসিং করা হয়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছে, সদ্যোজাত থেকে ১৯ বছর বয়সী এবং মহিলাদের মধ্যে সংক্রমণ বাড়ছে। মাঝবয়সীরা সংক্রমিত হচ্ছেন তুলনায় কম।

একইসঙ্গে হু জানিয়েছে, গত অগাস্ট থেকে বিশ্ব জুড়ে মৃত্যুহার কমছে। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবরের মধ্যে বিশ্বে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ লক্ষ মানুষ। মারা গিয়েছেন ৫৪ হাজার জন। অতিমহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত বিশ্ব জুড়ে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ২ কোটি ৩৪ লক্ষ মানুষ। মারা গিয়েছেন প্রায় ৪৮ লক্ষ জন। গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে ৯ শতাংশ। যদিও মৃত্যুহার একই আছে। হু এর বক্তব্য, ইউরোপ বাদে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তেই কমছে কোভিডের প্রকোপ।

আফ্রিকায় কোভিডের সংক্রমণ কমেছে ৪৩ শতাংশ। ভূমধ্যসাগরের পূর্বে কমেছে ২১ শতাংশ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কমেছে ১৯ শতাংশ। পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কমেছে ১২ শতাংশ। আমেরিকা এবং ইউরোপ বাদে অন্যত্র মৃত্যুহার কমেছে ১০ শতাংশ। মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি কমেছে আফ্রিকায়। সেখানে এক সপ্তাহে ২৫ শতাংশ মৃত্যুহার কমে গিয়েছে।

গত এক সপ্তাহে যে দেশগুলিতে সবচেয়ে বেশি মানুষ কোভিডে সংক্রমিত হয়েছেন, তার শীর্ষে আছে আমেরিকা। এক সপ্তাহে সেখানে অতিমহামারীতে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লক্ষ ৬০ হাজার ৫৭১ জন। তার আগের সপ্তাহেও ওই দেশে একই সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন। ব্রিটেনে এক সপ্তাহে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৩৯ হাজার ৭৮১ জন। আগের সপ্তাহেও ব্রিটেনে একই সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন। তুরস্কে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৯৭ হাজার ২৭৭ জন। আগের সপ্তাহেও সেখানে একই সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হন। রাশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৬২৩ জন। আগের সপ্তাহের চেয়ে ওই দেশে সংক্রমণ বেড়েছে ১৩ শতাংশ। ভারতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৬১ হাজার ১৫৮ জন। সংক্রমণের হার ২১ শতাংশ কমেছে।